সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয়েছে আজ (শনিবার)। কাল (রবিবার) থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ী চলাচল শুরু হলে প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জাজিরা-মাওয়া রুটের নৌযান চলাচল। অধিকাংশ নৌযান মালকরা বিকল্প আয়ের পথ খুঁজছেন।
সেতু চালু হওয়ায় জাজিরা-মাওয়া রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আর শোনা যাবে না যাত্রী নেওয়ার জন্য লঞ্চ শ্রমিকদের হাঁকডাক। সেই সঙ্গে বন্ধ হবে স্পিড বোটে যাত্রী পারাপার। এ পথে হয়তো আর দেখা যাবে না লঞ্চ-স্পিড বোট।
লঞ্চচালক ও যাত্রীরা বলছেন, আগে শরীয়তপুরের জাজিরা থেকে মাওয়া ঘাটে যেতে হলে নদী পারাপারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যেত। বর্ষা মৌসুমে নদী পারাপার ছিল অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। বৈরী আবহাওয়ায় অনেক সময় নদী পারাপার বন্ধ হয়ে যেত। সেতু হওয়ায় এখন আর এসব সমস্যা পোহাতে হবে না।
ভেদরগঞ্জের যাত্রী শাকিল আহমেদ বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর খুলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এতে আমাদের অনেক ঝুঁকি কমে যাবে। বিশেষ করে অসুস্থ রোগী নিয়ে আর অপেক্ষা করতে হবে না।
স্পিড বোট মালিক কমির শেখ বলেন, আমার বেশ কয়েকটি স্পিডবোট ছিল। দুটি বিক্রি করেছি। চেষ্টা করছি অন্য কিছু করার।
হাসান লঞ্চের চালক আসলাম হক বলেন, লঞ্চ-স্পিড বোটে নদী পার হওয়ার সমস্যা শেষ হচ্ছে। এখন আর মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হবে না। এখানে যাত্রীদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হতো। এখন আর হবে না। আমরা বেকার হলেও ভালো লাগছে। মানুষের বহুদিনের ভোগান্তি কমবে। তবে আমরা চেষ্টা করছি বিকল্প কিছু করার। হয়তো বিকল্পরুট তৈরি হবে যেখানে যাত্রী পরিবহণ করতে পারবো।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের মাওয়া বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, শনিবার সেতু চালু হচ্ছে। এতে এ নৌ-রুটে যাত্রী পারাপার করা হবে না। এখন আর মানুষের আগের মতো কোনো ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
লঞ্চ মালিক সমিতির সিনিয়র সহ- সভাপতি সািইদুর রহমান রিন্টু বলেন, আমরা বৈঠক করে এই রুটের লঞ্চ মালিকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। প্রয়োজন হলে অন্যরুটে এসব লঞ্চ চলাচলের উদ্যোগ নেওয়া হবে।