নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানির দেওয়া গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিপরীতে ২০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাবনা দিয়েছে কারিগরি মূল্যায়ন টিম।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কর্তৃক আয়োজিত ‘প্রাকৃতিক গ্যাস ভোক্তা পর্যায়ে মূল্যহার বৃদ্ধির প্রস্তাবের’ গণশুনানির ৪র্থ এবং শেষ দিনে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাবের শুনানি সম্পন্ন হয়।
জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানির পক্ষ থেকে দর বৃদ্ধির প্রস্তাবে, বিদ্যুতে প্রতি ঘন মিটার গ্যাস ৪ দশমিক ৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯ দশমিক ৬৭ করার কথা বলা হয়েছে। শিল্পে ১০ দশমিক ৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩ টাকা এবং সিএনজির দর ৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৬ টাকা করার কথা বলা হয়েছে।
শুনানিতে জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানির দেওয়া ১১৭ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবকে পর্যালোচনা করে ২০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে কারিগরি মূল্যায়ন টিম।
শুনানিতে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল বলেন, পেট্রোবাংলা নিয়ন্ত্রণাধীন গ্যাস কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবনায় সামঞ্জস্যতা থাকার কারণ জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, কোম্পানিগুলো শুধুমাত্র নামের পরিবর্তন করে একই রকম দাবি নিয়ে এসেছে! এমনটা হওয়ার কথা না। দেশের সর্বত্র গ্যাস সমান ব্যবহার হয় না। তাহলে তাদের প্রস্তাবনারও ভিন্নতা আসার কথা। কিন্তু আমরা এমনটা লক্ষ্য করিনি।
এসময় উপস্থিত ভোক্তাদের পক্ষ থেকে কমিশনের নিকট অনুরোধ জানিয়ে মহিউদ্দিন বলেন, অন্তত আগামী ছয় মাসের জন্য এই শুনানি স্থগিত ঘোষণা করা হোক। এই ছয় মাসের মধ্যে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি না করে, কোম্পানিগুলো সঠিক এবং বিশুদ্ধ একটি প্রস্তাবনা নিয়ে আসুক। তারপর পুনরায় শুনানি করা যাবে।
ভোক্তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়। কোম্পানিগুলোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এবং চারদিনের শুনানি শেষে আমরা বলতে পারি, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নয় বরং মূল্য কমবে।