অনলাইন ডেস্ক: ভারতে পেট্রোল-ডিজেলে লিটারে প্রতি ৩ রুপি শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এর মধ্যে বিশেষ উৎপাদন শুল্ক ২ রুপি ও সড়ক পরিকাঠামো বাবদ ১ রুপি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ক্রমেই কমছে আর তাতে ভারতের বাজারেও পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছিলো। কিন্তু হলো তার বিপরীত।
বাড়তি এই কর না বসানোর ফলে জ্বালানির দাম লিটারে প্রায় ৩ টাকা কমে যাওয়ার কথা ছিলো তবে তা আর কমবে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। আর এদিকে আগামী অর্থবছরে নতুন এই শুল্ক বাবদ বাড়তি ৩৯ হাজার কোটি রুপি আয় আশা করছে ভারত সরকার।
গত সপ্তাহে দিল্লিতে পেট্রোলের দাম ছিল ৬৯ দশমিক ৮৭ রুপি, ডিজেলের ৬২ দশমিক ৫৮ রুপি। প্রায় একই অবস্থা দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গে, সেখানে গত শুক্রবার কলকাতায় পেট্রোলের দাম ছিল লিটারপ্রতি ৭২ দশমিক ৭০ রুপি। ডিজেলের দাম ছিল ৬৫ দশমিক শূন্য ৭ রুপি। গতকাল ৩ রুপি বাড়তি শুল্ক বাড়ানোয় এখন পেট্রোলের দাম হয়েছে ৭২ দশমিক ৫৭ রুপি। আর ডিজেলের দাম হয়েছে ৬৪ দশমিক ৯১ রুপি। অর্থাৎ, গতকাল ৩ রুপি দাম কমার কথা থাকলেও না হয়নি। পেট্রোলে মাত্র ১৩ পয়সা দাম কমেছে, ডিজেলে ১৬ পয়সা।
দাম বৃদ্ধি নিয়ে দেশটির অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন, বাড়তি কর চাপলেও তেলের দাম বাড়েনি, বরং কমেছে। আজ রোববারও গতকালের তুলনায় পেট্রোল ১২ পয়সা, ডিজেল ১৪ পয়সা কমছে।
তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, এমনিতেই গতি নেই অর্থনীতির, তার ওপর করোনাভাইরাসের জেরে ব্যবসা নিয়ে অনিশ্চয়তা। এর মধ্যে পেট্রোল-ডিজেলের দাম না কমানোয় সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী মহল পর্যন্ত বিপাকে পড়বে।
মোদি সরকারের আমলে ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে পেট্রোল-ডিজেলে শুল্ক বেড়েছে নয় বার।