শরীয়তপুরের পালং থানা থেকে এক প্রতারক জ্বিনের বাদশাকে আটক করেছে পুলিশ। তার নাম মুফতি সাইফুল ইসলাম। তিনি শরীয়তপুর পৌরসভার কোটাপাড়া এলাকায় একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। জ্বিনের বাদশাহ
দীর্ঘদিন ধরে জ্বিনে ধরা রোগীদের চিকিৎসার নামে চেম্বার খুলে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল।
তাছাড়া ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে রোগী সংগ্রহ করতেন
এবং তাদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন অনেক টাকা।
আব্দুস সালাম হাওলাদার নামের এক ভুক্তভোগী তার প্রতারণার ফাঁদে পা দেন । তিনি প্রায় এক লক্ষ
৫০ হাজার টাকা হারিয়েছেন। পরবর্তীতে জ্বিনের বাদশার প্রতারণা বুঝতে পারলে তিনি পালং মডেল
থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
আব্দুস সালাম হাওলাদার মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন।
পরবর্তীতে ইউটিউব চ্যানেলে জ্বিন হুজুর মুফতি সাইফুল ইসলামের সন্ধান পায়। তিনি প্রতিদিন
জ্বিন হুজুরের কাছ থেকে চিকিৎসা নেওয়ার চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। চুক্তি ছিল জ্বিন হুজুরকে প্রতি সপ্তাহে
৮ হাজার করে টাকা দিতে হবে। এই পর্যন্ত তার কাছ থেকে এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় জ্বিন
হুজুর। এর বিনিময়ে রোগীর কোন উন্নতি না হওয়ায় গত ৩ জুলাই সালামের স্ত্রী জ্বিন হুজুরের কাছে টাকা
ফেরৎ চায়। তখন জ্বিন হুজুর কুফরির মাধ্যমে রোগী সালাম, তার স্ত্রী ও পরিবারকে আর্থিক ও মানসিক
ভাবে বিভিন্ন ক্ষতি করার হুমকি দেয়।
আমার বাড়ি যশোর জেলায়। আমি জ্বিনে ধরা রোগীর চিকিৎসা করি। পাশাপশি কোটাপাড়া এলাকার একটা মাদ্রাসায় চাকরী করি। আমি মানুষের সাথে কোন প্রতারণা করি না, জানান অভিযুক্ত জ্বিন হুজুর অরফে মুফতি সাইফুল ইসলাম।
পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ আক্তার হোসেন বলেন, অভিযোগকারীর সাথে অভিযুক্ত জ্বিনের বাদশার আপোষ হয়েছে। এই জ্বিনের বাদশার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে তাকে পুনরায় আটক করা হবে।
আরো সংবাদ পড়ুনঃ পরিবর্তন আসছে জন্ম নিবন্ধন, বিধিনিষেধ অমান্য করায় জরিমানা
জ্বিনের বাদশাহ