সরকার থেকে প্রায় ১০০ টির মত ভবন অনিরাপদ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এইসব ভবন পোশাক শিল্প কারখানা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ রিমেডিয়েশন কো-অরডিনেশন সেল (আরসিসি) ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ এবং চট্টগ্রামে এমন ১০৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পরিচালিত কারখানা চিহ্নিত করেছে।
ফাইনানসিয়াল এক্সপ্রেসের সূত্র মতে, গত ১৮ মার্চ তারিখে একটি চিঠিতে আরসিসি প্রকল্প পরিচালক একেএম সালেহউদ্দীন বলেন, ২০২০ সালের মে থেকে অক্টোবরের মধ্যে আরসিসি প্রকৌশলীরা পরিদর্শনকৃত ইউনিটের মধ্য থেকে ৫৩১টি বন্ধ কারখানা পরিদর্শন করেন। এতে জানা যায়, পূর্বে বন্ধ হওয়া ৮০টি ভবনের জায়গায় রয়েছে ৮০টি নতুন কারখানা এবং এর মধ্যে ২৫টি বন্ধ কারখানার প্রতিটিতে একটিরও বেশি কারখানা স্থাপন করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, যে সকল নতুন কারখানাগুলো পূর্বের বন্ধ হওয়া কারখানাগুলোর জায়গা দখল করছে, রিমেডিয়েশন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য সেগুলোতে পুনঃপরিদর্শনের প্রয়োজন রয়েছে।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে (ডাইফ) পাঠানো চিঠিতে এ-ও বলা হয়, যেহেতু এসব নতুন ইউনিট ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভের অধীনে পরিদর্শিত হয়নি, সেহেতু আরসিসি দ্বারা নজরদারি করা সম্ভব যায়নি।
জনাব সালেহউদ্দীন অবশ্য বলেন, কারখানা মালিকদের আগুন, বৈদ্যুতিক সংযোগ এবং কাঠামোগত নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন করা যেতে পারে, যাতে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। তিনি এ বিষয়ে ডাইফ-এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে এই নতুন কারখানাগুলো নিরাপত্তার স্বার্থে ভালোভাবে মূল্যায়িত করা যায় এবং সে অনুযায়ী প্রতিকার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
১৪ মার্চে একটি আলাদা চিঠিতে আরসিসি ৯৩টি তৈরী পোশাক খাত বহির্ভূত কাজে ব্যবহৃত ঝুঁকিপূর্ণ সেই ভবনগুলোর জন্যও একই পরামর্শ দেয়া হয়, যেখানে আগে পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
চিঠিটি থেকে জানা যায়, ৯৩টির মধ্যে ৭০টির মতো হয় অফিস, নয়তো শো-রুম; ১১টি আবাসিক ভবন এবং ১২টি ওয়ারহাউজ বা গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আরসিসি এই বন্ধ তৈরী পোশাক শিল্প কারখানার তালিকায় নতুন কারখানার কথাও যোগ করার অনুরোধ জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডাইফ এসব ভবনে কোনো কার্যক্রম শুরু করার আগে তাদেরকেও এ বিষয়ে জানানো উচিত।