ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হলে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গুড়িগুড়ি এবং কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বিশেষ করে, গত রবিবার রাত থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, আজ মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) থেকেই রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় এই বৃষ্টিপাত কিছুটা কমেছে দেখা দিয়েছে সূর্যের হাসি।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, আবহাওয়া এখনও পুরোপুরি ‘ভালো’ হয়নি। লঘুচাপ আছে, তাই এখনও সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত এবং নদী বন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত বলবৎ আছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কুমিল্লায়, ১২৪ মিলিমিটার। এছাড়া রাজধানীতে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ১০৪ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় লঘুচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও দুর্বল হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে যেতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। তাপমাত্রায় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
দেশের অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়খালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর গুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।