কোভিড-১৯ মহামারির এই ক্রান্তিলগ্নে জরুরিভিত্তিতে সবাইকে টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। সঠিক সময়ে জনসাধারণকে টিকা দিতে সিরিঞ্জের গুরুত্ব অপরিসীম। এজন্য জরুরিভিত্তিতে ৯ কোটি ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ সরাসরি কেনার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
রোববার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।
সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, আজকের বৈঠকে চীন থেকে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে টিকাদানের জন্য জরুরিভিত্তিতে ৯ কোটি ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চায়না ছাড়া এখন এই মুহূর্তে এত বিপুল সংখ্যক সিরিঞ্জ সাপ্লাই দেওয়ার মতো কারো ক্যাপাসিটি নেই। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে যাওয়ার কারণ হচ্ছে, সময়কে যতটা সংক্ষিপ্ত করা যায়। কারণ, একদিকে কোভিড নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে, অন্যদিকে ভ্যাকসিন চলে আসবে। কিন্তু সিরিঞ্জ না থাকলে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। সেজন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে নিয়ে আসা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ১৩ কোটি ৮২ লাখ লোককে টিকাদানের লক্ষ্যে ২৭ কোটি ৬৪ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য ২৭ কোটি ৬৪ লাখ সিরিঞ্জ প্রয়োজন। প্রতি মাসে ২ কোটি মানুষকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যে ৯ কোটি ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ জরুরি ভিত্তিতে ক্রয় করতে হবে।
প্রস্তাবিত ৯ কোটি এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ চায়না ন্যাশনাল ফারমাসিটিকাল ফরেন ট্রেড করপোরেশন হতে কেনা হচ্ছে।
এছাড়াও সভায় ২০২১-২২ অর্থবছরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ব্যবহারের জন্য প্রতিস্থাপক হিসেবে ৫০টি গাড়ি ক্রয়ের লক্ষ্যে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি যানবাহন অধিদফতর কর্তৃক ২০০৬-২০০৭ অর্থবছর থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণের সরকারি ও দাফতরিক কাজে ব্যবহারের জন্য জিপ গাড়ি ক্রয় করে বরাদ্দ প্রদান করে আসছে। পুরাতন জিপগুলো আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ায় মেরামত করে প্রশাসনিক ও দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় গতিশীলতা ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের জন্য ৫০টি মিৎসুবিশি পাজেরো স্পোর্ট কিউ এক্স জিপ গাড়ি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে।