মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান জরুরি প্রয়োজনে করোনা ভাইরাসের টিকা পেতে চীনের উদ্যোগে ‘ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি ফর কোভিড ফর সাউথ এশিয়া’ নামের প্ল্যাটফর্মে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ।
আজ চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র নেতৃত্বে দক্ষিণ এশিয়ার ছয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে টিকা নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের স্টেটমেন্টে বলেছি, যেখান থেকে পাই আমরা ভ্যাকসিন নিয়ে আসব। মানুষের মঙ্গলের জন্যে যা যা প্রয়োজন সব বহুজাতিক উদ্যোগের সঙ্গে থাকবে বাংলাদেশ।
বৈঠকে চীন ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও আফগানিস্তান, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক থেকে ভারতকেও চীনের এই প্ল্যাটফর্মে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
ছয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এক যৌথ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বৈঠকের বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, প্ল্যাটফর্মের অন্যতম উদ্যোক্তা চীন। আমরা আজ এ ছয়টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীগণ দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চীন ও বাংলাদেশ ছাড়া বাকি চারটি দেশ হচ্ছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় এ প্ল্যাটফর্মে ভারতকেও অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আজকে ভার্চুয়ালি ছয়টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বসেছি। চীনের প্রধানমন্ত্রীই মূলত এর প্রধান উদ্যোক্তা। চীনের তত্ত্বাবধায়নেই আজকের বৈঠক হয়। এ বৈঠকে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কোভিডের কারণে বিভিন্ন দেশে ওষুধ ও টিকার সমস্যা হয়। এ স্টোরেজ থেকে সেগুলোর চাহিদা পূরণ করা হবে। তাছাড়া কোভিডের কারণে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। বেকারত্ব ও দারিদ্র্য দূর করতে এ প্ল্যাটফর্ম একটি তহবিল গঠনের বিষয়েও উদ্যোগ নেবে। এ ছাড়া ই-কমার্স নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় কর্মহীন নারীদের কাজের সুযোগ করে দেওয়া হবে। মোট কথা এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ যাতে উপকৃত হয়, তার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বাংলাদেশের মঙ্গল হয়, সব ধরনের উদ্যোগ নেব আমরা।