জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা ছাড়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। কোভিড-১৯ উত্তরণে বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত, জলবায়ু সহনশীল এবং টেকসই উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের দিকে মনোনিবেশ করেছে।
তিনি বলেন, করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে অপরিকল্পিত বিনিয়োগ ও পদক্ষেপ চলমান উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করে পরিবেশের অবনতি এবং জলবায়ুর ক্ষতি ঘটাতে পারে। এজন্য কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে পরিবেশ ও জলবায়ু সহনশীল পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি।
ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন এবং ইতালির সংসদের যৌথ উদ্যোগে ইতালির রোমে আয়োজিত ‘প্রি-কপ২৬ পার্লামেন্টারি মিটিং’ শীর্ষক আলোচনা সভার ‘গ্রিন অ্যাপ্রোচেস টু কোভিড-১৯ রিকভারি’ সেশনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ইতালির সংসদ ও ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রতি এমন একটি আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন স্পিকার।
স্পিকার বলেন, কোভিড-১৯ হতে পুনরুদ্ধারের কৌশল হিসেবে বাংলাদেশ অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক সবুজ প্রবৃদ্ধিকে প্রাধান্য দিয়েছে। নিম্ন-কার্বন ব্যবহার পদ্ধতির ওপর জোর দিয়ে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনীতির উন্নয়নে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের অফ-গ্রিড গ্রামীণ এলাকায় ইতোমধ্যে প্রায় ৬.২ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে, যা ওই সব এলাকার মানুষের বিদ্যুতের ব্যবহার নিশ্চিত করছে। সরকার মিনি গ্রিড সৌর সেচ এবং রুফটপ সোলার সিস্টেম ব্যবহারে গুরুত্বারোপ করেছে।
সভায় সংসদীয় প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, দীপংকর তালুকদার ও জাফর আলম অংশগ্রহণ করেন।
ব্রিটিশ হাউজ অব লর্ডসের স্পিকার জন ফ্রান্সিস ম্যাকফেলের সভাপতিত্বে, ইতালিয়ান চেম্বার অব ডেপুটিজ-এর প্রেসিডেন্ট রবার্তো ফিকো এবং ইতালিয়ান সিনেটের প্রেসিডেন্ট মারিয়া এলিসাবেতা কেসিলাতির সঞ্চালনায় সভায় যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি কীনোট-স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক মারিয়া নেইরা, ইন্টারন্যাশনাল সোলার এলাইন্সের অজয় মাথুর, ইউনাইটেড ন্যাশন এনভারমেন্ট প্রোগ্রাম অফিস ফর ইউরোপের পরিচালক ব্রুনো পজি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় বিভিন্ন দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।