ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
আসন্ন ঈদুল ফিতরে বাড়ি ফিরছেন রাজধানীবাসী। আর এ আনন্দঘন ঈদযাত্রায় প্রতিবারের মতো এবারও সবচেয়ে বেশি চাপ রেলপথে। গতকাল বুধবার ছিল ট্রেনে ঈদযাত্রার প্রথম দিন। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিন সকালেও রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উদ্দেশ্যে ট্রেন ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
প্রথম দিন ট্রেন ছাড়ায় বিলম্ব হওয়ার বিষয়ে ঈদযাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও আজ তেমনটি দেখা যায়নি। তবে যাত্রীদের অভিযোগ রয়েছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ঈদে ট্রেনের আগাম টিকিট পাচ্ছেন না তারা।
ঈদযাত্রার প্রথম দিন গতকাল বুধবার (২৭ এপ্রিল) ভোর ৬টায় রাজশাহীগামী ধূমকেতু ট্রেনের মাধ্যমে ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা বিলম্ব হওয়ায় পরের ট্রেন সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ৬টা ২০ মিনিটে ঈদযাত্রা শুরু হয়। গতকালের মতো আজও ভোর থেকেই যাত্রী সাধারণের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে পুরো স্টেশন এলাকা।
সরেজমিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, এদিন নিজ নিজ গন্তব্যের ট্রেন ধরতে সেহরি খেয়েই অনেকে চলে এসেছেন স্টেশনে। তারা জানান, সেহরির পর ঘুমিয়ে গেলে আর ট্রেন ধরতে পারবেন না, এজন্য আগেভাগেই স্টেশন এলাকাতে চলে এসেছেন। আগত এসব যাত্রীদের অনেকেই ভ্যাপসা গরম থেকে বাঁচতে সাথে এনেছেন হাতপাখা। এবারের ঈদযাত্রায় প্রতিদিন ৫৩ হাজার যাত্রী ট্রেনে রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র আন্তঃনগর ট্রেনে আসন থাকবে ২৭ হাজারের বেশি।
তামিম ফয়সাল ফজরের নামাজ পড়েই চলে এসেছেন স্টেশনে। তার গন্তব্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, তার ট্রেনের নির্দিষ্ট সময় সকাল ৮টা ১৫ মিনিট। ফয়সাল জাগো নিউজকে বলেন, ২৪ ঘণ্টার অপেক্ষার পর টিকিট মিলেছে। এখন যদি ট্রেন মিস হয় তাহলে আর বাড়ি যাওয়া হবে না। তাই আগেই স্টেশনে এসেছি, ঘুম এলে এখানে বসে বসে ঘুমাবো, কিন্তু ট্রেন মিস হলে চলবে না।
একই কথা জানান রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী আবু মুরসালিন। তার যাত্রার সময় দেওয়া আছে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে। তিনি বলেন, গতকাল গণমাধ্যমে দেখেছি ট্রেনের বিলম্ব। তবুও আগেই স্টেশনে এলাম, এখানে পৌঁছানোর পর ট্রেন যখনই আসবে উঠতে পারবো। আর বাসায় থাকলে ঘুমিয়ে পড়বো তখন হয়তো উঠতে পারবো না। বাড়ি যেতে না পারলে তো ঈদ আনন্দই মাটি হয়ে যাবে।
ঈদযাত্রা শেষে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ মে। এবারের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত শনিবার (২৩ এপ্রিল) থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। রোববার (২৪ এপ্রিল) থেকে ২৮ এপ্রিলের টিকিট দেওয়া হয়, ২৫ এপ্রিল দেওয়া হয় ২৯ এপ্রিলের টিকিট, ২৬ এপ্রিল ৩০ এপ্রিলের টিকিট আর ২৭ এপ্রিল দেওয়া হয় ১ মে’র টিকিট।