ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
সারা দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪ লাখ ৬১ হাজার ৬১১ রোগী। তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার ১২৯ রোগী ভর্তি হয়েছে। সে হিসাবে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডায়রিয়া নিয়ে প্রতি ঘণ্টায় ২১৪ রোগী ভর্তি হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, হঠাৎ করে গরম চলে আসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কারণে শিক্ষার্থীদের বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয় গ্রহণ এবং অনিরাপদ পানির কারণে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৪৭ রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরপর খুলনা বিভাগে ১ লাখ ১ হাজার ৮১৯, চট্টগ্রামে ৫১ হাজার ৫৯৬, রাজশাহীতে ৩৭ হাজার ৬০৩, রংপুরে ৩৪ হাজার ৮১৯, সিলেটে ৩২ হাজার ৯৩৮, ময়মনসিংহে ৩২ হাজার ১৮৬ এবং বরিশাল বিভাগে ১১ হাজার ৪০৩ রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা যাওয়া দুজন চট্টগ্রামের বাসিন্দা।
আইসিডিডিআর,বির সহকারী বিজ্ঞানী ডা. শোয়েব বিন ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতি বছর গরমের মৌসুমে দৈনিক গড়ে সাড়ে সাতশ থেকে আটশ রোগী আসে তাদের এ হাসপাতালে। তবে গত কয়েকদিন ধরে তা ১২শ ছাড়িয়েছে।
তিনি জানান, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, শনিরআখড়া, মোহাম্মদপুর এবং উত্তরা এলাকা থেকে বেশি রোগী আসছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই কলেরা আক্রান্ত। এবার আঠারো বছরের বেশি বয়সী রোগী বেশি।
আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালের প্রধান ডা. বাহারুল আলম জানান, গরমে ডায়রিয়ার জীবাণুটি অনুকূল পরিবেশ পায়। এই সময়ে জীবাণু বেশিক্ষণ বেঁচে থাকে। তাছাড়া গরমের সময় অনেকে অনিরাপদ পানি পান করেন। এতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, আমাদের পরামর্শ হলো, বাইরের কোনো খাবার খাবেন না। যেখান সেখান থেকে পানি খাবেন না। পানি যদি খেতে হয় তাহলে সেটি ফোটানো হতে হবে। অন্যথায় নিশ্চিত হতে হবে পানি জীবাণুমুক্ত। সেইসঙ্গে করোনাকালীন সময়ের দুই বছরে হাত ধুয়ার যে একটা ভালো অভ্যাস তৈরি হয়েছিল, এটা বজায় রাখতে হবে।