নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডিজেল চালিত পরিবহণের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মহানগরীর মধ্যে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২ টাকা ১৫ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ভাড়া করা হয়েছে ৮ টাকা এবং ১০ টাকা। এছাড়া দুরপাল্লার যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৮০ পয়সা।
রবিবার দুপুরে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রেক্ষাপটে গণপরিবহনে ভাড়া পুনর্নির্ধারণে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে পরিবহন মালিক সমিতির নেতাদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন এই ভাড়া আগামীকাল সোমবার থেকে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়।
নতুন সমন্বিত ভাড়া অনুযায়ী, দূরপাল্লার বর্তমান বাসভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা ৮০ পয়সা করা হয়েছে। অর্থাৎ কিলোমিটারপ্রতি যাত্রীকে বাড়তি ৩৮ পয়সা গুনতে হবে। এছাড়া বড় বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা, মিনিবাসে ৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া মহানগরে বাসের বর্তমান ভাড়া কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা, সেটা ২ টাকা ১৫ পয়সা করা হয়েছে। কিলোমিটারে ভাড়া বেড়েছে ৪৫ পয়সা। মহানগরে মিনিবাসের বর্তমান ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৬০ পয়সা। সেটি বাড়িয়ে ২ টাকা ৫ পয়সা করা হয়েছে। কিলোমিটারপ্রতি ৪৫ পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ দূরপাল্লার বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ আর মহানগরে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভাড়া বাড়লো।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসাধারণ সম্পাদক রাকেশ ঘোষ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনসহ সরকারি-বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সর্বশেষ ২০১৫ সালে নগর পরিবহণে বাসের ভাড়া প্রতি কিলেমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা এবং মিনিবাসের জন্য ১ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। আর ২০১৬ সালে দূরপাল্লায় ডিজেলচালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ১ টাকা ৪২ পয়সা।
গত ৩ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। ওইদিন রাত ১২টা থেকেই কার্যকরের নির্দেশনা দেওয়া হয় প্রজ্ঞাপনে। পরদিন থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন দেশের মানুষ। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দলসহ সামাজিক সংগঠনগুলোও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে।
ডিজেলের দাম বৃদ্ধি প্রতিবাদে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে সারা দেশে ধর্মঘট শুরু পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা। এই পরিবহণ ধর্মঘটে সারা দেশ অচল হয়ে পড়েছে। তিন দিন ধরে পরিবহণে ধর্মঘটে জিম্মি রয়েছেন সাধারণ মানুষ। শিকার হচ্ছেন সীমাহীন দুর্ভোগের।
তিন দিন পরে সরকারের সঙ্গে আজ (রোববার) বৈঠকে এ বিষয়ে সমাধান এলো। পরিবহণ মালিক সমিতি ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।
আরইউ