সিলেট জেলা প্রতিনিধি
কনকনে শীত উপেক্ষা করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ভোর ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুই সাবেক শিক্ষক ক্যাম্পাসে পৌঁছান। ক্যাম্পাসে পৌঁছে তারা শিক্ষার্থীদের সব অভিযোগ শোনেন।
এ সময় ড. জাফর ইকবাল শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘জীবন অনেক মূল্যবান। তুচ্ছ বিষয়ে জীবন অপচয় করা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা বাসায় এসেছিল। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তোমরা যা চাইছো, যে দাবি তোমাদের সেটা পূরণ হবে। তাদের সঙ্গে আলোচনার পর আমরা দেরি করিনি, সরাসরি এখানে চলে এসেছি। আমরা তোমাদের অনশন না ভাঙিয়ে যাবো না। তোমরা পুরো দেশ কাঁপিয়ে দিয়েছো।’
অধ্যাপক জাফর ইকবাল আরও বলেন, ‘তোমাদের পানি পান না করিয়ে আমি ক্যাম্পাস ছাড়বো না। আমি তোমাদের সব কথা বলতে পারছি না। তবে এতটুকু বলতে পারি তোমরা যা চাইবে, তোমাদের দাবি যা, তা পূরণ হবে। ’
এ সময় অধ্যাপক ইয়াসমিন হক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সিনিয়র শিক্ষকদের ঘটনার দায় নিতে বলেন। তারা সক্রিয় থাকলে ও আন্তরিক হলে আজকের পরিস্থিতি হতো না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকেই ড. জাফর ইকবালের ক্যাম্পাসে আসার খবর ছড়িয়ে পড়ে। রাত ৯টার দিকে তিনি ও ইয়াসমিন হক ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হন। শিক্ষার্থীরা প্রিয় শিক্ষককে নিজেদের মধ্যে পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকেন। পরে তারা ক্যাম্পাসে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন ও বিস্তারিত ঘটনা শোনেন। পরে অনশনরত শিক্ষার্থীদের পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দেন তারা।
শাবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে নিজ কলামে শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে মতামত জানান তিনি।
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল দীর্ঘদিন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। ২৫ বছরের শিক্ষকতা জীবন শেষে ২০১৯ সালে অবসরে যান তিনি।