বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়েছে। তবে এখন শহরে কম হলেও গ্রামে বেশ লোডশেডিং হয়। তবে এবার গরমে ঢাকায় ডিপিডিসির অধীন এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা থাকবে এক হাজার ৯০০ মেগাওয়াট। ফলে এই এলাকায় এবার কোনও লোডশেডিং হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকার বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি-ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন। এ সময় কোম্পানিটির সচিব মো. আসাদুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) মো. গোলাম মোস্তফা, নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) গিয়াস উদ্দিন জোয়ার্দার উপস্থিত ছিলেন।
বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘এবার গ্রীষ্মে আমাদের অধীন এলাকায় গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা এক হাজার ৯০০ মেগাওয়াট। লোডশেডিং যাতে না হয় সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। তবে একেবারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ জন্য আমরা যেসব প্রকল্প হাতে নিয়েছি তার বেশিরভাগই ওই সময় শেষ হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গ্রাহকের দরজায় সেবা পৌঁছে দিতে আগামী ১২ দিন আমাদের ৩৬টি জোনে ভ্রাম্যমাণ ট্রাক নিয়ে যাচ্ছি। এই ট্রাক থেকে গ্রাহক তাদের সব ধরনের সেবা পাবেন। এই ট্রাক নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা দুইটি বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি, তা হলো: বিদ্যুৎ থেকে যেসব দুর্ঘটনা ঘটে সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন করা এবং ডিপিডিসির কাজগুলো যেন অনলাইনে করা যায়, দালালের যেন প্রয়োজন না হয়।’
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, তাৎক্ষণিকভাবে দেওয়া সম্ভব এমন সব ধরনের সেবা থাকবে। মানুষ নতুন সংযোগের আবেদন করলে যাচাই-বাছাই করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে কারও অভিযোগ থাকলে সেগুলোর সুরাহা করা হবে। একইসঙ্গে ভেন্ডিং মেশিন থাকবে। মানুষ চাইলে এখান থেকে প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ করতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, লোড বৃদ্ধি, মিটার পরিবর্তন, ভুল সংশোধনসহ সব ধরনের সেবা দেওয়া হবে। অনেক কাজ হয়তো একদিনে করা যাবে না। সে কাজগুলো যতদ্রুত সম্ভব করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুত্র বাংলাঃ ট্রিবিউন (তানিন)