সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকায় যারা জায়গা-জমি বা ফ্ল্যাটের মালিক রয়েছেন, তারা সবাই কালো টাকার মালিক এমনটাই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি অর্থনৈতিক ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কালোটাকা সাদা করা বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পাচার করা টাকা যখন আসবে, আমরা মনে করি তখন সেটার একটি অংশ পূঁজিবাজারে বিনিয়োগ হবে। বিভিন্ন শিল্পকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ হবে। এই প্রত্যাশায় আমরা সেদিকে নজর দিচ্ছি।
পাচার করা টাকা নিয়ে চাপে আছেন কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমি কোনভাবে চাপে নেই। আমি যেটি বলেছি সেটি আমি করব। আমি অর্ধেক রাস্তা থেকে ফিরে আসি না। আমি যখন রেমিট্যান্সের উপর প্রণোদনা দিয়েছি তখন অনেক সমালোচনা ছিলো যে টাকা আসবে না, কিছু হবে না, টাকা পাচার হবে। কিন্তু এসেছে, শুধু আসেনি ঐতিহাসিক রেকর্ড হয়েছে। যেটা কখনই সম্ভব না যে রেকর্ড আমরা অর্জন করেছি।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় যাদের জায়গা-জমি আছে, ফ্ল্যাট আছে সবাই কালো টাকার মালিক। এজন্য সরকার দায়ী, আমাদের সিস্টেম দায়ী। যে জমি আজ গুলশান এলাকায় কেনা হবে সেই জমি যে দামে রেজিস্ট্রি করবেন তারচেয়ে অনেক বেশি দাম হয় জমির। কিন্তু বেশি দাম তো রেজিস্ট্রি করতে পারবেন না। প্রত্যোকটা মৌজার জন্য দাম ঠিক করে দেওয়া আছে, এর বেশি দামে পারা যাবে না। সুতরাং যেটি পারা যাবে না, কালো টাকা তো সেখানেই হয়ে আছে। কে কালো টাকার বাইরে আছে। কিন্তু যখন কালো টাকা দেশে নিয়ে আসার চেষ্টা করি তখন বলা হচ্ছে যে কালো টাকা সাদা করাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। আমি বার বার বলি অপ্রদর্শিত টাকা। এখানে লাজ-লজ্জার কিছু নাই। সরকার এজন্য দায়ী। আমিও একসময় দায়িত্বে ছিলাম যে দাম বাড়ানো যায় কিনা কিন্তু দাম বাড়াতে পারিনি। যে দাম ছিলো সে দামেই আছে।
মন্ত্রী বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে যে ফ্ল্যাট ২ কোটি টাকায় রেজিস্ট্রি হচ্ছে সেই ফ্ল্যাটের দাম ১০ কোটি টাকা। ফলে সরকার বাড়তি রেজিস্ট্রেশন ফি পাচ্ছে না। এখানে টাকা হয়ে গেলো কালো টাকা।