সিলেটের তারাপুর চা-বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের এক সপ্তাহ ধরে মজুরি বন্ধ থাকায় বকেয়া মজুরির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চা-বাগান থেকে শতাধিক শ্রমিক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
অতঃপর বেলা একটার দিকে মজুরির দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর তারাপুর চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির মাধ্যমে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি চৈতন মুদি ও সাধারণ সম্পাদক সুনীল মুদি স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, তারাপুর চা–বাগানে বংশানুক্রমে শ্রমিকেরা কর্মরত আছেন। বাগানের মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতা ও মামলা মোকদ্দমায় সম্প্রতি বাগান কর্তৃপক্ষের ঘন ঘন পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমানে জেলা প্রশাসকের মনোনীত বাগান পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। তবে এক সপ্তাহ ধরে বাগানের শ্রমিকেরা মজুরি পাচ্ছেন না। আজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মজুরি হবে না। এমন অবস্থায় পরিবার নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। জেলা প্রশাসকের মনোনীত বাগান ব্যবস্থাপনা কমিটি রাধাকৃষ্ণ জিউ দেবোত্তর সম্পত্তি এবং স্টার টি এস্টেটের সভাপতি নারায়ণ সাহা ও সাধারণ সম্পাদক শান্তনু দত্ত সনতু লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, ‘বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি শূন্য হাতে বাগান পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। অন্যান্য বাগানের মতো তারাপুর চা-বাগানও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। চলতি বছরে ঋণ প্রস্তাবে কৃষি ব্যাংক সিলেট করপোরেট শাখা অপ্রত্যাশিতভাবে নামঞ্জুর করেছে। এতে বাগানের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কমিটির দায়িত্ব গ্রহণের পর কৃষি ব্যাংক থেকে নিয়মিত ঋণ পাওয়া যাবে এমন বিবেচনা করে কমিটি ব্যক্তিগতভাবে ঋণ নিয়ে শ্রমিক ও কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধ করে। কিন্তু ঋণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হওয়ায় ব্যক্তিগত ঋণ কিংবা ধার পাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বাগানের শ্রমিক ও কর্মচারীদের পাওনা মিটাতে অক্ষম হয়েছে। অপর দিকে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের নির্দেশনা থাকলেও রাগীব আলীর কাছ থেকে কোনো টাকা আদায় করা যায়নি। এতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নেও মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে।’