নাটোরে তিনদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমে ৪০ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এভাবে দাম কমতে থাকলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় দেশি পেঁয়াজের চাহিদা কমে আসার কারণে দাম নিম্নমুখী বলে জানালেন আড়ৎদাররা।
চলতি মাসের শুরুতেই হঠাৎ করে দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা কেজির পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হয় ৫৫ টাকায়। মঙ্গলবার আবার পেঁয়াজের দাম প্রতিকেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমে ৪০ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হয়।
চলতি বছর পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় ১২ এপ্রিল কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। চলতি বছর মে মাস পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত দাম পাননি কৃষকরা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন তারা। তবে চলতি মাসের শুরুতেই ভালো দাম পাওয়ায় ক্ষতি কাটিয়ে ওঠেন কৃষকরা। আগামীতে পেঁয়াজের উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে, দাম যাতে আর না করে, সেবিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তারা।
কৃষকরা জানান, পেয়াজের দাম কমেছে। কেজিতে ১৫ টাকা কমেছে। ওইদিকে ভারত থেকে পেয়াজও আমদানি করা হচ্ছে। আমরা কৃষকরা শেষ হয়ে যাবে।
আড়তদার জানান, বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় বিভিন্ন জেলায় দেশি পেঁয়াজের চাহিদা দাম কমে এসেছে। এজন্য পেয়াজের দামও কমেছে।
চলতি বছর নাটোর জেলায় ৪ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে প্রায় ৮০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়া উৎপাদন হয়েছে।