পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী চলতি অক্টোবর মাসের শুরু থেকে অনিবন্ধিত বা অবৈধ মোবাইল ফোন সেট বন্ধের কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টারে (এনইআইআর) নিবন্ধন না থাকায় এসব হ্যান্ডসেটগুলোকে নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে দেওয়া হয়নি। কার্যক্রম শুরুর প্রথম তিনদিনে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৬১।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, অক্টোবর মাসের আগ পর্যন্ত যত হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে সেগুলো সয়ংক্রিয়ভাবেই নিবন্ধন হয়ে গেছে। কিন্তু এরপর আর সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। ১ থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ লাখ হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্কে শনাক্ত করা হয়েছে। নিবন্ধন করায় এর মধ্যে নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পেরেছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৮২৭টি।
এই কার্যক্রম শুরুর আগে বিটিআরসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারের রাজস্ব নিশ্চিত করতে অবৈধভাবে উৎপাদিত বা আমদানিকৃত মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ, ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের চুরি ও অবৈধ ব্যবহার রোধ এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করার লক্ষ্যে নিবন্ধনের এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
এ অবস্থায় মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার পূর্বে এর বৈধতা যাচাইয়ের অনুরোধ জানিয়েছে বিটিআরসি। মোবাইলের মেসেজ অপশন থেকে কেওয়াইডি ও ১৫ ডিজিটের আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নম্বর লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠিয়ে হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই করা যায়।
বিটিআরসি আরও জানায়, বিদেশ থেকে বৈধভাবে আনা বা কেনা কিংবা উপহার পাওয়া অনুমোদিত মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহারের আগে নিবন্ধন করার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। www.neir.btrc.gov.bd এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে। অবশ্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়া বৈধ বা অবৈধ সব ধরনের হ্যান্ডেসেটকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন আরও জানায়, কোনো বিক্রেতা যদি অবৈধ হ্যান্ডসেট বিক্রি করেন, তাহলে ক্রেতার দাবি অনুযায়ী হ্যান্ডসেটের মূল্য ফেরত দিতে হবে। যারা অবৈধ হ্যান্ডসেট উৎপাদন, আমদানি বা বেচাকেনা করবে তাদের বিরুদ্ধে টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।