নীলফামারী প্রতিনিধি
ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার নদীর পানি হঠাৎ বেড়েছে। বুধবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় বিপৎসীমার (৫৩ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার) ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিপৎসীমার (৫১ দশমিক ৪০) সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
তিস্তা ব্যারাজের গেজ পাঠক (পানি পরিমাপক) নুরুল ইসলাম সকালে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সারারাতের বৃষ্টির ফলে ও পাহাড়ি ঢলে সকাল ৯টায় পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তিস্তা বেষ্টিত এলাকায় মাইকিংসহ রেড সংকেত জারি করা হয়েছে। বন্যার পানি সামাল দিতে খুলে দেওয়া হয়েছে ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইস গেট।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সতর্কীকরণ কেন্দ্র ও স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ব্যারাজের পার্শ্ববর্তী এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। কিন্ত উজানের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের ফলে ডিমলা এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) ইলিয়াস আলী জানান, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়া ছাড়াও ব্যারাজের সব গেট (৪৪টি) খুলে রাখায় ভাটি এলাকার খালিশা চাঁপনী ও বাইশপুকুর চর ডুবে গেছে।
ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় চরাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ ঘর-বাড়িসহ গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি উঁচু জায়গায় সরিয়ে নিয়েছে।
এদিকে, তিস্তার বন্যায় উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখাড়বাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপনী, ঝুনাগাছ চাঁপনী, গয়াবড়ি ও নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় ১০টি চর ও চর গ্রামের প্রায় ২০ হাজার ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। ক্ষতির মুখে পড়েছে শত শত একর আমন ধানের আবাদি জমি।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বের্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা প্রিন্স জানান, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার (৫১ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার) সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও হঠাৎ করে ডালিয়া পয়েন্ট বন্যা দেখা দিয়েছে।