কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
তিস্তার অব্যাহত ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা, বিদ্যানন্দ ও ছিনাই ইউনিয়নের শত শত পরিবারের বসতভিটা।
রাজাহাটের ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোর মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, নদী ভাঙনে বাদ যায়নি ভিটেমাটি, ফসলিজমি, স্কুল, মসজিদ, সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়কসহ স্পার। সব হারিয়ে দিশেহারা এসব এলাকার মানুষজন।
জানা যায়, দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ভেঙেই চলেছে তিস্তা নদী। রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাব খাঁ মৌজা, গতিয়াসাম মৌজা, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রামহরি ও তৈয়ব খা এলাকা, ছিনাই ইউনিয়নের কিং ছিনাই, কালুয়া, জয়কুমর, ছিনাইহাটসহ পূর্ব দেবোত্তর এলাকার শত শত পরিবারের বাড়িঘরসহ বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
নদীতে তলিয়ে গেছে চারটি মসজিদ, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি সেতু, পাঁচটি কালভার্ট, বাঁধ, এক কিলোমিটার পাকা সড়কসহ দুটি স্পার।
এলাকা ঘুরে জানা যায়, নদীভাঙনে তিস্তার পেটে গেছে অন্তত একশ বিঘা জমির রোপা আমনের ক্ষেত। হুমকির মুখে রয়েছে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কয়েকটি মসজিদ, একটি গুচ্ছগ্রাম, এক কিলোমিটার পাকা সড়ক।
ভাঙনের শিকার মানুষজন তাদের বাড়িঘরের টিনের চাল, টিনের বেড়াসহ পাকা ভবন ভেঙে সেগুলো রেখেছেন বিভিন্ন রাস্তার ধারে। অধিকাংশ পরিবার তাদের সদস্যদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে।
অভিযোগ করে গতিয়াসাম মৌজার কৃষক নজীব হোসেন (৭৫) বলেন, ‘গত কোরবানির ঈদের আগ থেকে তিস্তা নদী ভাঙছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বা কোনো জনপ্রতিনিধি এই নদীভাঙন এলাকায় আসলো না। কোনো জনপ্রতিনিধি এসে সহায়তা দেওয়া তো দূরের কথা সান্ত্বনাও দিলো না।’