জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ঘোষণা ছাড়াই রাজধানীসহ সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রেখেছেন মালিক-শ্রমিকরা। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে সড়কে বাস দেখা যায়নি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বলছেন, হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও ভাড়া সমন্বয় করা হয়নি। ভাড়া বাড়ানো না হলে তারা রাস্তায় পরিবহন নামাবেন না।
জানা গেছে, বুধবার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে ডিজেলের মূল্য লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করেছে সরকার। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) পরিবহন খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠক থেকে ভাড়া বাড়ানোর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে এ বিষয়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ ঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার সকাল থেকে চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট।
তবে তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। জ্বালানি তেলের বর্ধিত দাম না কমানো পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলেও জানান বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাকচালক ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলাম।
এদিকে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় রাস্তায় বেরিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। তারা বলছেন, শুক্রবার থেকে গাড়ি বন্ধ থাকার বিষয়ে তারা অবগত নয়। জরুরি প্রয়োজেন রাস্তায় বেরিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরিবহন মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সারাদেশের মালিকরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সারাদেশের বাস মালিকদের সেন্টিমেন্টের সঙ্গে আমরা কেন্দ্রীয় মালিক সমিতি একমত।’
একই সুরে কথা বলেছেন বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশেনের সহ-সম্পাদক এবং শ্যামলী পরিবহনের মালিক রাকেশ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত সারাদেশের মালিকদের। কেউ লোকসান দিয়ে গাড়ি চালাতে চায় না।’
এদিকে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাস ভাড়া ‘যৌক্তিক হারে’ বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনও আলাদভাবে বিআরটিএর কাছে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। এ নিয়ে বৃহস্পতিবারই বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।