মহামারী করোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়ন ও দরিদ্রদের জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করতে বাংলাদেশকে ৬০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশী মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)।
পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে বলে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিস থেকে এক সংবাদ বার্তায় জানানো হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের ওয়াশিংটনের হেড অফিস এই অর্থের অনুমোদন দেয়।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বলেন,
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারীতে হাজার হাজার মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে মহিলা শ্রমিক, যুবক এবং প্রবাস থেকে ফেরত আসা জনগোষ্ঠীদের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করেছে। এই দুটি প্রকল্প গ্রামীণ দরিদ্র জনগণকে ক্ষমতায়ন ও সংহত করতে, ভবিষ্যতের চাকরির জন্য তাদের প্রস্তুত করবে। বিশেষ করে নারী ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীদের উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করবে।
ডানডান চেন
বিশ্বব্যাংক জানায়, যুব, মহিলা ও সুবিধাবঞ্চিত কর্মীদের কর্মসংস্থান এবং জীবিকার সুযোগ উন্নত করতে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। বিশ্বব্যাংকের এই অর্থের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করা হবে। এই অর্থ কোভিড-১৯ মহামারীর বর্তমানসহ ভবিষ্যৎ ধাক্কা সামলাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, প্রকল্পটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করতে, তাদের সক্ষমতা তৈরিতে এবং সঞ্চয় ও ক্ষুদ্র ঋণের জন্য কমিউনিটি পরিকল্পনাগুলোর পাশাপাশি জলবায়ু-নির্ভরশীল অবকাঠামোকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। এই প্রকল্পে দরিদ্র ও অতি দরিদ্র, নারী এবং যুবকদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।