ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে দাবিহীন আমানত হিসাবে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে বছরের পর জমা রয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। মালিক না পাওয়া এসব অ্যাকাউন্টের টাকার পরিমাণ ছাড়িয়ে গেছে শত কোটি টাকা।
কোনো ব্যাংকে টাকা জমা আছে কিন্তু ১০ বছর ওই আমানতের দাবিদার না থাকলে সেটাকে ‘আনক্লেইমড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট’ (অদাবিকৃত অর্থ) হিসেবে গণ্য করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী ওই অ্যাকাউন্টের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা করার নির্দেশনা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয় ১৫ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকার অদাবিকৃত অর্থ। এর পর ২০১৮ সালে জমা পড়ে ১০ কোটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার, ২০১৯ সালে ১০ কোটি ৪৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা, ২০২০ সালে ৩৪ কোটি ৪৫ লাখ ৩৩ হাজার এবং সবশেষ ২০২১ সালে দাবিহীন আমানত থেকে জমা হয় ৩৭ কোটি ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর বাংলাদেশ ব্যাংকের সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া অদাবিকৃত অর্থের পরিমাণ ১০৮ কোটি ১৮ লাখ ২২ হাজার ৫০৩ টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১০ বছরের বেশি সময় পড়ে থাকা আমানত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানোর একটি নির্দেশনা দেওয়া আছে। ব্যাংকগুলো অদাবিকৃত আমানতের অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দিচ্ছে। একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করছে।
তিনি জানান, তবে অনেক ব্যাংক এখনও অর্থ জমা করেনি। ওই সব ব্যাংকে পরিদর্শনের সময় বিষয়টি দেখা হচ্ছে। এ ধরনের হিসাব পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনো ব্যাংকের কাছে ১০ বছর ধরে আমানত ও মূল্যবান সামগ্রীর দাবিদার না থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও তা মানছে না অনেক ব্যাংক। আবার কিছু ব্যাংক জমা দিলেও সঠিক নিয়মে তথ্য ও সুদের হিসাব করছে না। বছরের পর বছর ধরে ব্যাংকগুলো নিজস্ব সম্পদ হিসেবে এসব অর্থ ব্যবহার করছে। বিভিন্ন পরিদর্শনে বিষয়টি উঠে আসে।