আমদানি খরচ কমলেও এলপিজির বাড়তি দাম বেঁধে দিয়েছে বিইআরসি। এপ্রিলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টনে দাম কমেছে ৬৫ ডলার অথচ দেশে বিক্রি করা হচ্ছে মার্চের চড়া দামে। এটি স্বীকার করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে দাম নির্ধারণের হেরফের গ্রাহকদের মেনে নিতে হবে, কারণ আমদানি খরচের সাথে মিল রেখে এলপিজির দাম ঠিক করতে গণশুনানি লাগবে।
১২ এপ্রিল এলপিজির দাম ঠিক করে দেয় এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিইআরসি। সেসময় আমদানি খরচ ধরা হয় মার্চের, অথচ মার্চের তুলনায় এপ্রিলে প্রতিটন এলপিজি আমদানিতে খরচ কমেছে ৬৫ ডলার। এ হিসেবে ১২ কেজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম হওয়ার কথা ৯১০ টাকা যা বিইআরসি বেঁধে দিয়েছে ৯৭৫ টাকা। মার্চের আমদানি খরচের উপর দাম ঠিক করা হয়েছে, অথচ ব্যবসায়ীরা আমদানি খরচ মেটাচ্ছেন এপ্রিলের দরে। তাই এখন ব্যবসায়ীরাও চুপ। কিন্তু এর উল্টো হলেই ক্ষুব্ধ হন তারা।
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য মকবুল-ই-ইলাহী চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, “প্রতিমাসের টা প্রতিমাসে সিপির সঙ্গে মিলিয়ে করা হয়নি। এখন পর্যন্ত যে মেকানিজম সেই মেকানিজমে আমরা ডেভোলপ করতে পারবো না। এখন এটা নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। নেক্সট সাধারণ সভায় আসেন, গণসুনানিতে আসেন, লেট আস ডিসাইড। সিপই যখন ডিক্লেয়ার হবে আমরা অটোমেটিক্যালি কম্পিউটারে সেটা ডিসাইড করে ফেলবো।”
ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাব বলছে দাম নির্ধারণে ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছে বিইআরসি। ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করে জানান, “অবৈধভাবে দাম বাড়ানোর বেনিফিট দিয়ে গেছে বিইআরসি। প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে মূল্য নির্ধারণ না করায় এখন তারা বাড়ানো দাম ধরে আবার নির্ধারণ করেছে। এটা বিইআরসি চরমভাবে পক্ষপাতিত্বের পরিচয় দিয়েছে।”
দাম নির্ধারণে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা না থাকায় দাম বর্জন করেছে ক্যাব এবং বিইআরসিকে পুনরায় গণশুনানির দাবি জানিয়ে এরইমধ্যে চিঠি দিয়েছে তারা।
সুত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট নিউজ/ এমএস