পেঁয়াজের চাহিদা কমে যাওয়ায় দামও কমে গেছে বলে দাবি নাটোরের কৃষকদের। চলতি বছর অতিরিক্ত দামে বীজ ও চারা কিনলেও বর্তমান দামে লোকসান গুনছেন বলে জানান তারা। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় পেঁয়াজের চাহিদা নেমেছে ৪ ভাগের একভাগ। এর ফলে কমেছে দাম।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর গত ১২ এপ্রিল থেকে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে ৪০ টাকা। এ ঘোষণার প্রায় একমাস হতে চললেও নাটোরের কৃষকরা সে হারে দাম পান না। বর্তমানে ২৮ থেকে ৩২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।গত ২ বছর পেঁয়াজের দাম ভালো পাওয়ায় চলতি বছর কৃষকরা অতিরিক্ত দামে বীজ ও চারা কিনেছেন। প্রতিকেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে ৩৫ টাকা খরচ হলেও বিক্রি করতে হচ্ছে কম দামে। বাইরে থেকে ক্রেতা না আসায় এমন পরিস্থিতি বলে মনে করেন কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, লকডাউনের কারণে ব্যবসায়ীরা আসতে পারে না। সেজন্য মাল বিক্রি করতে পারছি না। আমাদের উৎপাদন খরচ উঠতেছে না।ব্যবসায়ীরা জানান, অন্য বছর নাটোর থেকে প্রতিসপ্তাহে ৭০০ থেকে ৮০০ টন পেঁয়াজ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হলেও এবার হচ্ছে মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ টন। পরিবহন সংকটকেও কারণ হিসেবে দেখছেন তারা।
গত বছর জেলায় ৬৩ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ উৎপাদন হলেও এবার উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার মেট্রিকটন। ন্যায্যমূল্য না পেলে পরের মৌসুমে পেঁয়াজ চাষে অনেকে আগ্রহ হারাবেন বলে মন্তব্য কৃষকদের।