ঝরঝরিয়া ও হোগলা বুনিয়া গ্রাম দুটিকে আলাদা করেছে হাতিটানা নদী। এই দুই গ্রামসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা একটি কাঠের সাঁকো। কিন্তু সেই কাঠের সাঁকোটিও এখন নড়বড়ে ও ঝুঁকিপূর্ণ। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছেন স্থানীয়রা।
লনা ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালি ইউনিয়নের গ্রাম দুটি অবস্থিত। হাতিটানা নদীর ওপর আনুমানিক ১৩-১৪ বছর আগে মাগুরখালি ইউনিয়নের তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত কার্তিক মণ্ডলের উদ্যোগ এবং স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত হয় কাঠের সাঁকোটি। কিন্তু নয় মাস আগে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।বাঁশ-কাঠ দিয়ে পুনঃসংস্কার করেন ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানা। দীর্ঘ ব্যবহারে এই সাঁকো এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। নড়বড়ে আর ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও নিরুপায় হয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মাগুরখালি ইউনিয়নের ঝরঝরিয়া, হোগলাবুনিয়া, গজালিয়া, চিত্রামারী, খোরের আবাদ, ব্রহ্মের বেড়, মাঁদারতলা, শেখের ট্যাকসহ তালা উপজেলার মাছিয়াড়া, প্রসাদপুর, রায়পুর, খলিল নগর, কাঠবুনিয়া গ্রামের কমপক্ষে হাজার পাঁচেক মানুষ প্রতিনিয়ত হাতিটানা কাঠের সাঁকো দিয়ে চলাচল করে।
দীর্ঘদিন ধরে একটি পাকা সেতুর দাবি তুললেও কোন ব্যবস্থা করেনি সংশ্লিষ্ট দফতর। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি পেলেও আলোর মুখ দেখেনি সেতু। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন হাজারো মানুষ। যেকোনো সময় সাঁকোটি ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন পথচারী ও স্থানীয়রা।
স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী এবং দুই উপজেলার কর্মজীবীরাও প্রতিদিন এটি ব্যবহার করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে আমরা একটি ব্রিজের দাবি করে আসছি। কিন্তু নানা সময়ে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি।’
ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ বলেন, ‘তিটানা নদীর ওপরে দ্রুত সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই সেতু নির্মাণ হলে কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি দূর হবে।’