অনলাইন ডেস্ক: করোনা মহামারীতে দেশের অন্য সব অর্থনীতির সূচক উদ্বেগজনক হলেও বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার আলো দেখাচ্ছে। হিসেব বলছে প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন আমদানী ব্যয় করলেও এই রিজার্ভ দিয়ে আট মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
অর্থনীতির বিশ্লেষক আহসান এইচ মনসুর বলেন, রেমিটেন্স-রপ্তানি আয়ে ধস নেমেছে। তারপরও প্রায় ৩৩ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ একটা স্বস্তির জায়গা তো বটেই। কঠিন সময়ে রিজার্ভের এই স্বস্তিকে ‘মন্দের ভালো”।
গতকাল বুধবার দিনের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ২৬৬ কোটি (৩২ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন) ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এর আগে ২০১৭ সালে রিজার্ভের পরিমান ছিল মিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
আড়াই বছর পর গত ১ মার্চ রিজার্ভের পরিমান আবারো ৩৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। আর এই সময়ের মধ্যে রিজার্ভ ৩১ থেকে ৩২ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ওঠানামা করেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন বুরোর (ইপিবি) তথ্যে বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশের আয় সাড়ে ৬ শতাংশ আর আর দেশের প্রধান রপ্তানি খাত পোষাক শিল্পের রপ্তানি কমেছে সাড়ে ৭ শতাংশ।
ব্যাংকের তথ্য মতে ,জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে আমদানি ব্যয় কমেছে ৫ শতাংশের মত।
দেশের আমদানি সংক্রান্ত আট মাসের তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে আমদানি ব্যয় কমেছে ৫ শতাংশের মত।
দেশের আমদানি সংক্রান্ত আট মাসের তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায় জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে আমদানি ব্যয় কমেছে ৫ শতাংশের মত। বিশ্লেষকরা বলছেন , কোভিড-১৯ সংকট কেটে যেতে শুরু করলে আমদানি খরচ বাড়বে। তখন এই রিজার্ভ কাজে দেবে।