দেশের প্রায় সব সেক্টরেই অনিয়ম: ভোক্তার ডিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, দেশের প্রায় সব সেক্টরেই অনিয়ম-দুর্নীতি রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ বিষয়ক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভোক্তার ডিজি বলেন, সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানে প্রতারণা হচ্ছে ভোক্তা অধিদপ্তর সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও অভিযানের পরিকল্পনা করছে। যেমন আমরা যে গ্যাসের দাম দিচ্ছি সে হিসেবে গ্যাস পাচ্ছি কি না? এমন নানা বিষয়ে যাচাই করে অভিযান চালানো হবে।

তিনি বলেন, গত ১৩ বছরে একটাও ফৌজদারি মামলা করা হয়নি। তবে বারবার অপরাধ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফৌজদারি মামলার আওতায় আনার পরিকল্পনা আছে আমাদের। ঈদের পর থেকে শুধু জরিমানা নয়, জরিমানার পাশাপাশি মামলা করা হবে।

বাস ভাড়ার মত লঞ্চের ভাড়া নিয়ন্ত্রণের অভিযান চালাবে ভোক্তা অধিদপ্তর জানান তিনি।

কোন ভোক্তা প্রতারিত হলে আগামীতে খুব সহজেই ভোক্তা অধিদপ্তরে অটোমেশনের মাধ্যমে সহজেই অভিযোগ করতে পারবে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেছেন, হঠাৎ একদিন বাজার তদারকির মাধ্যমে পণ্যমূল্য সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সেজন্য বাজারকে ডিজিটাল তদারকির মধ্যে আনতে হবে। নিয়মিত দেখভাল করতে হবে।

তিনি বলেন, অনেক ক্ষমতা নিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর গঠিত হয়েছে। আইনও অনেক শক্তিশালী। তারপরও আমার মনে হয়, জরিমানা আরও বাড়ানো উচিত। এতে করে প্রকৃতপক্ষে যারা সিন্ডিকেটকারী তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জরিমানা ও শাস্তির মাত্রা বাড়ালে তাদের গায়ে লাগবে।

‘জরিমানার পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীদের ফৌজদারি আইনের আওতায় এবং সামাজিকভাবে হেয় করা দরকার। যাতে তারা এ কাজ থেকে সরে আসে।’

সেমিনারে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবির ভুঁইয়া বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিদপ্তরকে আরও কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে। জরিমানার পরিমান আরও বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে মামলা দায়ের করতে হবে।

তিনি বলেন, ভোক্তারা যেন কোনভাবে প্রতারিত না হয় সেদিকে ভোক্তা অধিদপ্তরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

আরইউ