দেশে এখন পর্যন্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এসেছে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ এবং এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৯৩ হাজার ৩৪০ ডোজ। সেই অনুযায়ী এখন মাত্র ১ লাখ ছয় হাজার ৬৬০ ডোজ ভ্যাকসিন অবশিষ্ট আছে। সোমবার ( ২১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪২ লাখ ৭৩ হাজার ৩২৫ জন। তবে প্রথম ডোজ নেওয়া ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জনের মধ্যে ১৪ লাখের বেশি মানুষের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া নিয়ে সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো তথ্য থেকে আরও জানা যায়, যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের সবাইকেই অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকারই দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। কেননা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও দুই কোম্পানির দুই ডোজের টিকা গ্রহণের কোনও সিদ্ধান্ত দেয়নি।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলে। টিকা সঙ্কট দেখা দেওয়ায় ২৬ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ ঘোষণা করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২ মে’র পর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় টিকার জন্য নিবন্ধনও।
জানা গেছে, কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের মাধ্যমে আজ ২১ জুন আবারও শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকাদান কর্মসূচি।