সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধের কারণে দেশে কোনো খাদ্য সঙ্কট বা হাহাকার- এরকম কিছু হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বুধবার (৯ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক চু ডং ইউয়ের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করছি। আমাদের যে ফুডস্টক আছে, প্রোডাক্টিভিটি যেটা আছে, ইনশাআল্লাহ আমাদের কোনো বড় সমস্যা হবে না।
পণ্যের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রশ্নে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মানুষের একটু তো কষ্ট হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে। আগামী এপ্রিলে তো আমরা বড় ফসলের মৌসুম পাব। আশা করছি কোনো সমস্যা হবে না।
আমি আবারও বলছি, আপনারা অনেকে আমার সঙ্গে একমত না হতে পারেন। আমি মঙ্গলবার (৮মার্চ) টেলিফোন করে কক্সবাজারেও কথা বলেছি। তারা বলছে, মোটা চালের দাম বাড়ছে না। এটার দাম গত এক দেড় মাস যাবত ৪০/৪২ টাকার মধ্যেই আছে। সরু চালের দাম বাড়ছে, সরু চালের আসলেই ঘাটতি আছে। মানুষের আয় বেড়েছে। এজন্য মানুষের মধ্যে চিকন চাল খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। তবে আমরা দেশের গরিব মানুষকে সহায়তা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা এখনও ৬ থেকে ৭ মিলিয়ন টন ভুট্টা উৎপাদন করছি। বাংলাদেশের আবহাওয়া ভুট্টার জন্য খুবই উপযোগী। এদেশে ভুট্টা উৎপাদনের ক্ষেত্রে এফএও বড় ভূমিকা রেখেছে। আমি মনে করি আগামীতে, সংস্থাটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।
আগামী অক্টোবরে এফএও বিনিয়োগ সম্মেলন করবে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, তারা আশা করছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেখানে যাবেন। আমরা এখন পাইপ দিয়ে সেচটা করতে চাই। এক্ষেত্রে অনেক বিনিয়োগ দরকার। আমরা লবনাক্ত অঞ্চলে বিভিন্ন শস্য করতে যাচ্ছি। আশা করি এ সব ক্ষেত্রে এফএও আমাদের কারিগরি সহায়তা দেবে।