অনলাইন ডেস্ক: দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন- চাল, ডাল, তেল, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন ও আদাসহ সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে এবং করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন, মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, মজুতের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় বেশি। কোনো পণ্যের ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। তারপরও কৃত্রিম উপায়ে কোনো পণ্যের সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পবিত্র রমজান মাসের জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত আগে থেকেই বাড়ানো হয়েছে। দেশীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের চাহিদার তুলনার বেশি পণ্য উৎপাদন করেছে। আমদানিযোগ্য পণ্য অনেক আগেই পর্যাপ্ত পরিমাণে আমদানি করা হয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু পণ্য পরিবহন এবং আমদানিকৃত পণ্য দ্রুত খালাসের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছু অনিয়ম ধরা পড়ছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে ৯০টি টিম নিয়মিত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া টিসিবির কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য ঢাকায় ৮টি এবং ৬৪ জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকার অভিযান জোরদার করেছে। আশা করা যাচ্ছে, কোনো সমস্যা হবে না।
জেলা প্রশাসন ঢাকা রমজান উপলক্ষে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় পরিচালিত টিসিবির পণ্য বিক্রয় স্থানসমূহে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, সারাদেশে পাইকারি বাজার চালুর বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর তাদের অভিযান আরও জোরদার করবে এবং একই সঙ্গে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সহ নানা কার্যক্রমের কথা তুলে ধরা হয় সভায়।
এছাড়া টিসিবি বছরব্যাপী তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ অন্যান্য পণ্যের সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক তৎপর থাকবে এবং করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় গঠিত টাস্কফোর্স আরও জোরদারভাবে কাজ করবে।