অনলাইন ডেস্ক: দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুত আছে বলে জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। গত মৌসুম এবং নতুন মৌসুমে উৎপাদিত নতুন লবণ এবং শেষে উদ্বৃত্ত পুরাতন লবণ মিলিয়ে দেশে লবণের মজুত ২০ লাখ তিন হাজার মেট্রিক টন।
চলতি অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত চাহিদা মিটিয়ে ১ জুন লবণ মাঠ ও মিল পর্যায়ে লবণের মোট মজুতের পরিমাণ ১৩ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন। এছাড়া দেশের সব জেলার ডিলার, পাইকারী ও খুরচা বিক্রেতা পর্যায়ে আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ মজুত রয়েছে।
বিসিকের শিল্প উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ বিভাগ এবং কক্সবাজারে অবস্থিত বিসিক লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে ভোজ্য ও শিল্প লবণের মোট চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৮ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে মোট ১৫ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন ক্রুড লবণ উৎপাদিত হয়েছে। এছাড়া বিগত মৌসুমের উদ্বৃত্ত লবণ ছিল চার লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। সব মিলিয়ে মোট জাতীয় চাহিদার বিপরীতে দেশে লবণের মোট মজুত ২০ লাখ তিন হাজার মেট্রিক টন। যা দেশের মোট চাহিদার চেয়ে প্রায় ১.৫০ লাখ মেট্রিক টন বেশি।
বর্তমান মজুতকৃত লবণ দিয়েই আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানির পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণসহ আগামী ১০ মাস লবণের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ নতুন লবণ মৌসুম শুরু হওয়ার আর মাত্র ৫-৬ মাস বাকি। এরপর থেকেই আবারও বাজারে নতুন লবণ আসতে শুরু করবে।