নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আমাদের দেশে পিক আওয়ার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। যার ফলে আমার দেশে সৌরবিদ্যুতের কার্যকারিতা নেয়, বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায়, ইরিনা’র ডিরেক্টর জেনারেল ফ্রান্সিসকো লা ক্যামেরা-এর সাথে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সংক্রান্ত একটি দ্বিপাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী রিনিউয়েবল এনার্জি বিষয়ক আলোচনা করেন। ব্যবহারের দিক থেকে কম খরচের বিদ্যুৎ পিক আওয়ারে ব্যাবহার হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্যন্য দেশে পিক আওয়ার দুপুর ১২টা। আর আমার দেশে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা। যার কারণে, আমার দেশে সোলার-বিদ্যুতের কার্যকারিতা নেয়।
আমাদের দেশে সৌরবিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারণ জমির দাম বেড়েছে।
১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সাড়ে তিনশো’ একর নন এগ্রিকালচারাল জমি প্রয়োজন হয়, যা কঠিন পাশাপাশি চ্যালেঞ্জিংও বটে বলে মনে করেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন, অধিকাংশ দেশে রিনিউয়েবল এনার্জি পিক আওয়ারে ব্যাবহার করা হয়। আর আমাদের দেশেও কম খরচের বিদ্যুৎ প্রয়োজন এই পিক আওয়ারে। যা সৌরবিদ্যুত থেকে নেওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে আমাদের রিনিউয়েবল এনার্জির পরিধি বিস্তৃত করতে হবে। এর পরিধি বাড়াতে আমার আর্থিক এবং টেকনোলজি সাপোর্ট প্রয়োজন। সরকারিভাবে এবং পাবলিকলি কাজের প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে ক্লাইমেট চেইঞ্জ ফান্ড তৈরী করেছে। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে চুক্তি বদ্ধ হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়েছি। তারা বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। যার মূল্য পড়বে প্রায় ২০ সেন্ট এর উপরে। যা অতিরিক্ত। যেখানে অন্যসব প্লান্টে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যায় হচ্ছে ৫-৬ সেন্ট। তারপরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ক্লাইমেট প্রতিশ্রুতি রক্ষায় এটা আমাদের করতে হচ্ছে।