দেশের ব্যস্ততম নৌরুট হিসেবে পরিচিত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট। এ ঘাটে নদী পারের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে খোলা আকাশের নিচে অপেক্ষা করছে ৬ শতাধিক যানবাহন। পদ্মায় ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান থাকায় এবং ঘাট সংকটের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১১ অক্টোবর) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক ও দূরপাল্লার বাসগুলোকে আটকে থাকতে দেখা যায়। দূরপাল্লার বাসগুলো কিছু সময় অপেক্ষা করে ফেরির দেখা পেলেও পণ্যবাহী ট্রাকগুলো সহজে ফেরির দেখা পাচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার এলাকায় তিন শতাধিক যানবাহনের দীর্ঘ সারি। এসব যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বেশি।
অপরদিকে ঘাট এলাকায় ভিড় কমাতে ফেরিঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর দিকে তিন কিলোমিটার এলাকায় তিন শতাধিকেরও বেশি অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাককে আটকে রাখা হয়েছে।
যশোরের ঝিকরগাছা থেকে ট্রাক নিয়ে এসেছেন শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাত থেকে গোয়ালন্দ মোড়ে আটকা আছি। আশপাশে হোটেল না থাকায় দোকান থেকে চা-বিস্কুট খেয়ে রাত পার করি। সকাল হলে গাড়ি গোয়ালন্দ মোড় থেকে ছেড়ে দিলে আবার ইউনিয়ন পরিষদের কাছে এসে আটকে যায়। ফেরি পেতে এখনও ঘণ্টা দুয়েক সময় লাগবে।
আরেক ট্রাকচালক শিমুল বিশ্বাস বলেন, আমরা চালকরাই শুধু জানি, সময়মতো মাল ডেলিভারি দিতে না পারলে কি হয়। ১৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও এখনও ফেরির দেখা পাইনি। ট্রাকে কাঁচামাল রয়েছে। এই গরমে সব নষ্ট হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের ( বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ২০টি ফেরির মধ্যে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। একটি ফেরি মেরামতের জন্য পাটুরিয়াতে আছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাবাজার-শিমুলিয়ার অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও ড্রেজিংয়ের জন্য ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ার কারণে দৌলতদিয়া প্রান্তে সৃষ্টি হচ্ছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। তবে পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে