ঢাকা, ১৪ জুলাই রোববারঃ গতকাল শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের সদ্য সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ফারুক জানিয়েছেন, তাঁদের করা দ্বিতীয় দফার নমুনা পরীক্ষাতেও বাজারের দুধে অ্যান্টিবায়োটিক পেয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন অধ্যাপক ফারুক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাতটি প্যাকেটজাত (পাস্তুরিত) দুধের নমুনা পরীক্ষা করে সেগুলোতে মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহৃত শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়ার কথা।
এ বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘গত সপ্তাহে তারা আবার নমুনা পরীক্ষা করেছেন। আগের পাঁচটি কোম্পানির সাতটি পাস্তুরিত প্যাকেট-জাত দুধের একই জায়গা থেকে সংগৃহীত নমুনা এবং একই জায়গা থেকে খোলা দুধের সংগৃহীত তিনটি নমুনা অর্থাৎ মোট দশটি নমুনা উন্নত ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে, এবারের সবগুলো নমুনাতেই অ্যান্টিবায়োটিক সনাক্ত হয়েছে।’ আগের গবেষণায় তিনটি অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেলেও এবার তারা চারটির সন্ধান পেয়েছেন। এর মধ্যে আগের বার পাওয়া যায়নি এমন নতুন দুটি অ্যান্টিবায়োটিক পেয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা ভবিষ্যতেও অন্যান্য পরীক্ষাগুলোর ফলাফল জনস্বার্থে প্রকাশ করার চেষ্টা করব। তবে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নাকচ করে অধ্যাপক ফারুক বলেন, জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগজনক এই সমস্যাটি সমাধানে উদ্যোগী হওয়ার পরিবর্তে বিশেষ কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে আর বিদেশি চক্রান্ত খুঁজতে হবে না।