ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ডাকা বাম গণতান্ত্রিক জোটের অর্ধদিবস দিবস হরতাল শুরু হয়েছে। সোমবার (২৮ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে পল্টন এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে এ হরতাল পালন শুরু করে বাম দলগুলো।
সরেজমিনে পল্টন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকালে হরতালে সমর্থনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরিক দল সিপিবি, বাসদ, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির নেতাকর্মীরা পল্টন মোড় এলাকায় মিছিল বের করেন। মিছিলটি মতিঝিল, গুলিস্তান, বিজয়নগর ঘুরে আবার পল্টন মোড়ে অবস্থান নেয়। পল্টন মোড়ে ব্যারিকেড় দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নেতাকর্মীরা ওই এলাকায় অবরোধ দিয়েছেন।
এদিকে বাম জোটের হরতালকে কেন্দ্র করে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের সাদা পোশাকে পল্টন মোড়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
পল্টন মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ থেকে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করছি। মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। এ হরতালে কোনো ধরনের উসকানি দেবেন না।
বাম জোটের নেতারা বলেন, যারা হরতালে গাড়ি চালাবেন, তারা জাতির শত্রু। এরা সরকারের দালাল। এদের চিহ্নিত করা হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, হরতালের সমর্থনে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় বাম জোটের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে সেখান থেকে পুলিশ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া সারা দেশে মিছিলে বাধা দেওয়া ও হামলার খবর আসছে আমাদের কাছে।
হরতালের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় হেঁটে, রিকশায় করে অনেককে গন্তব্যস্থলে রওনা দিয়েছেন। এদিকে রাজধানীর পল্টন-মতিঝিল, কাকরাইল ও এর আশপাশের কয়েকটি সড়কে তেমন গাড়ি না দেখা গেলেও অন্যান্য এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে।
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে গত ১১ মার্চ পুরানা পল্টনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবনের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে বাম জোট।