করোনাভাইরাসের মহামারি নিয়ন্ত্রণে কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা গণপরিবহন সেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে নিজ সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন মন্ত্রী।
সরকারি-বেসরকারি অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, কারখানার শ্রমিক এবং জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে গণপরিবহণ চলাচলে আরোপিত বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম মহানগরসহ গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন সেবা চালু থাকবে। তবে শহরের বাইরের কোনো পরিবহন শহরে ঢুকতে পারবে না এবং বের হতেও পারবে না। দূরপাল্লার গণপরিবহন পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত যথারীতি বন্ধ থাকবে।
মন্ত্রী জানান, প্রতি ট্রিপের শুরু এবং শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত এবং পরিবহন সংশ্লিষ্ট ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। অর্ধেক আসন খালি রেখে আগের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ভাড়া ৬০ শতাংশ বর্ধিতহার নির্ধারিত থাকবে।
এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সোমবার থেকে সারা দেশে মানুষের চলাচলের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এর আওতায় রিকশাছাড়া বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহণ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ফলে সোমবার ও মঙ্গলবার এ দুদিন রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে গণপরিবহণ চলেনি। এদিকে সরকারি-বেসরকারি অফিস ও শিল্পকারখানা খোলা রাখার কারণে ভোগান্তিতে পড়েন সংশ্লিষ্ট যাত্রীরা। এ পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে চলাচলের নতুন সিদ্ধান্ত এলো।
তবে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত দূরপাল্লায় গণপরিবহণ (বাস, আন্তঃনগর ট্রেন ও অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী নৌযান) চলাচল যথারীতি বন্ধ থাকবে।