এ বছর বোরো উৎপাদন হয়েছে ২ কোটি ৭ লাখ ৮৪ হাজার ৫০৮ টন, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। এছাড়া বিগত বছরগুলোর তুলনায় ফলনের পরিমাণও বেড়েছে অনেক। এ বছর বোরোর উৎপাদন গত বছরের তুলনায় ১১ লাখ টনেরও বেশি হয়েছে।
জানা যায়, গত বছর দেশে বোরো ধানের জাতীয় গড় ফলন ছিল প্রতি হেক্টরে ৩ দশমিক ৯৭ টন। এ বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ২৯ টনে। অর্থাৎ হেক্টরপ্রতি উৎপাদন বেড়েছে দশমিক ৩২ টন, যা গত বছরের তুলনায় ৮ দশমিক শূন্য শতাংশ বেশি। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ৯৬ লাখ টন। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে। এবার বোরোতে ২ কোটি ৫ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সব মিলিয়ে এ উৎপাদন দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
এ বছর ধান কাটার শ্রমিক সঙ্কট অনেকটা কমিয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার। তিন হাজার ২০ কোটি টাকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় অঞ্চলভেদে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে ধান কাটাসহ অন্যান্য কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকদের দেয়া হয়েছে।
গত বছর ধান কাটতে কম্বাইন হারভেস্টার মাঠে নামানো হয়েছে ১ হাজার ২৪০টি। এ বছর ১ হাজার ৬৬৬টিসহ মোট ২ হাজার ৯০৬টি কম্বাইন হারভেস্টার মাঠে ধান কেটেছে। রিপারও চলছে মোট ৮৩৯টি, যা গত বছরের প্রায় দ্বিগুণ।
নতুন রেকর্ড তৈরি হওয়ার ব্যাপারে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘অধিক জনঘনত্বের দেশে নিত্য ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে কৃষি উৎপাদনের ক্রমবৃদ্ধি বিশ্বের কাছে বিস্ময়ের ব্যাপার। প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথেই কৃষির এই উন্নয়ন। কৃষি উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও ধারা অব্যাহত রেখেছেন তার সুযোগ্য কন্যা। তার সফল সরকারের শাসনামলে সার্বিক কৃষিতে এ বিপ্লব ঘটেছে, আগামীতে এর আরও উন্নয়ন হবে, আমরা এটা আশা করতেই পারি।’
এছাড়া তিনি বলেন, ‘সরকারের কৃষি অনুকূলনীতি ও প্রণোদনায় কৃষক এবং কৃষিবিদদের মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। জনগণের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক এখন কৃষি।’