লকডাউনে দূরপাল্লার বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঈদের আগে আগে রাস্তায় নেমে পড়েছে বেশ কিছু বাস।
সরকার জেলার ভেতরে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর অনুমতি দিলেও দূরপাল্লার বাস বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও লুকিয়ে টিকিট বিক্রি করে উত্তর কিংবা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে ছেড়ে যাচ্ছে বাস। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় দেখা গেল শখানেক বাসে যাত্রী তোলা হচ্ছে। ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকা থেকেও সকালে বেশ কিছু বাস ছেড়ে গেছে।
মারিয়া পরিবহন নামের একটি বাসের চালক শামসুল ইসলাম বলেন, কুড়িগ্রামের রৌমারি যাওয়ার জন্য ৩৫ হাজার টাকায় তার বাস ভাড়া করেছে চন্দ্রা এলাকার একটি বাস কাউন্টার। ওই কাউন্টারের ব্যানারে বাসটি এখন কুড়িগ্রামে যাবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার অনুমতি দিয়েছে শুনেই’ তিনি টাঙ্গাইল থেকে গাড়ি নিয়ে চন্দ্রায় এসেছেন।
চালক ও সহকারীরা বলছেন, ৭২ ঘণ্টার জন্য সরকার দূরপাল্লার বাস চালুর ‘সিদ্ধান্ত দিয়েছে’ -এমনটা শুনেই তারা গাড়ি নিয়ে নেমেছেন। তবে পুলিশ ও পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
মঙ্গলবার বিকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাড়ি ও মানুষের চাপ বেড়ে গেছে।
“লোকাল গাড়ির সঙ্গে মাঝেমধ্যে দূরপাল্লার গাড়িও নেমে পড়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এলাকায় আরও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। দূরপাল্লার বাস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।