বাইপাইল আজিজ পাম্পের সামনে হাকডাকে সরগরম ছিল ঢাকার সাভারে বাইপাইলের বাস কাউন্টারগুলো। উত্তরাঞ্চলের উদ্দেশে যাত্রী ঠাসাঠাসি করে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ছেড়ে যাচ্ছে মাইক্রোবাস।
নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও রাজবাড়ী এই সাত করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার থেকে ৯ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এসব জেলায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক বৈঠক শেষে জানান, ‘সবকিছু বন্ধ থাকবে। মানুষও যাতায়াত করতে পারবে না। পণ্যবাহী ট্রাক এবং অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কিছুই চলবে না।’
যাত্রীদের যারা মাইক্রোবাসে তুলে দিচ্ছেন তারা মূলত কাজ করছেন মধ্যস্বত্ত্বভোগী হিসেবে। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় কাউন্টারের স্টাফরাই মূলত এই কাজ করছেন। কমিশন হিসেবে মাইক্রোবাস চালকদের কাছ থেকে যাত্রী প্রতি যাত্রী প্রতি ২০০ টাকা নিচ্ছেন তারা।
শাহিন আলম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘তার স্ত্রীর ভাইভা ছিল চট্টগ্রামে। এখনো চট্টগ্রামে যেতে পারে নি। আবার রংপুরে ক্লিনিকে চাকরি করে। আজকে না গেলে চাকরি থাকবে না। ভাড়াতো ১০০০ টাকা করে নিচ্ছে। যতটা সিট ততজন নিচ্ছে। আমাদের বলছে ১৩ জন যাবে।’
মঙ্গলবারও ৫০-৬০টি মাইক্রোবাস এখান থেকে ছেড়ে গেছে। নিয়ম না মেনে লোকাল বাসগুলোকেও যাত্রী বোঝাই করে চলাচল করতে দেখা গেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও ট্রাফিক বিভাগ) আব্দুল্লাহ হিল কাফী বলেন, ‘নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের নন্দন ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাড়ইপাড়ায় আমাদের চেকপোস্ট আছে। কোনো গাড়ি সাভার থেকে পাশের জেলা মানিকগঞ্জ ও গাজীপুরে প্রবেশ করতে পারবে না। বিকল্প রুট ধামরাইয়ের কালামপুর হয়ে মির্জাপুরগামী অনেক বাস আটক করা হয়েছে। লোকাল বাসেও যারা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’