সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে। ৫০ বছরের গর্বের স্থাপনা পদ্মা সেতুর মাধ্যমে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (ভোমরাসহ অন্যান্য স্থল বন্দর) মোংলা সমুদ্র বন্দর, পায়রা সমুদ্র বন্দর বিশেষ সুবিধা পাবে।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘‘আঞ্চলিক বাণিজ্য, আন্তঃসংযোগ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে স্থলবন্দরের ভূমিকা’’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন,পদ্মা সেতু হচ্ছে আমাদের মডেল। ওপর দিয়ে আকাশপথে বিমান যাবে, পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি যাবে, রেল যাবে, নিচ দিয়ে নৌকা যাবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের এই ধরনের একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণে এগিয়ে যাব। আমরা এককভাবে ভাল থাকতে চাইনা; আমরা প্রতিবেশীদের নিয়ে, বিশ্বকে নিয়ে ভাল থাকতে চাই। মানবিক পৃথিবী দেখতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শুধু শ্রমিক বান্ধব-ব্যবসা বান্ধব নন; তিনি বাংলাদেশ বান্ধব। প্রধানমন্ত্রী ২০০১ সালে বিরাট দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ব্যবসায়িদের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ গঠন করেন। ২০০১ সালের অক্টোবরে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসকবলিত বাংলাদেশ গড়ে তোলে। ব্যবসায়ি ও অর্থনীতিতে নিরাপত্তা ছিলনা।
নৌ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে স্থলবন্দর করেছিলেন তা শুরুতেই মুখ থুবরে পড়েছিল। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর আবার বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন
বাংলাদেশস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী,
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, এমপি,
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মোঃ শফিউল ইসলাম এমপি ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল,
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বর অব কমার্স এন্ড ইনডাস্ট্রির চেয়ারম্যান আবদুল মতলুব আহম্মেদ এবং বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক ২০০১ সালের ১৪ই জুন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠাকালীন সংস্থাটি ১৩ টি স্থলবন্দর নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক দিক নির্দেশনায় ২৪টি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আমদানি-রফতানি পণ্য নিরাপদে পারাপার করা স্থল বন্দরের মূল দায়িত্ব। স্থলবন্দরের সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থল বন্দরে অটোমেশন চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল স্থলবন্দরক্ষে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে। বন্দরগুলোর ইয়ার্ড বৃদ্ধি করা হচ্ছে।