রাজধানীতে বেড়েছে ভাড়ার পরিমাণ। দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে বাস-মাইক্রোবাস-সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছাড়াও উবারসহ অ্যাপসভিত্তিক বাহনের যাত্রীদের।
আমিনুল ইসলাম নামের এক কর্মজীবী বলেন, ‘তাদের যা ইচ্ছা, তাই করছে। স্বাস্থ্যবিধি নেই। ভাড়ার নিয়ন্ত্রণ নেই। এটা কোনো কথা? সরকারের এসব বিষয় তদারকি বাড়ানো উচিত। যারা এভাবে ভাড়ার নামের কষাইগিরি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে সব সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।’
বাসচালক ও সহকারীদের দাবি, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাসে যাত্রীদের ওঠার চেষ্টা করেন। স্যানিটাইজারও রাখেন। অনেক সময় যাত্রীরাই নিয়ম মানেন না। তবে, ঈদের কারণে ভাড়া একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে।
সজিব মিয়া নামের এক বাস চালক বলেন, ‘লকডাউনের কারণে ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। মাঝে মাঝে আরও কমও নেওয়া হয়। তবে ঈদের কারণে এখন একটু ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে।’
পরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ছিল করোনার সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে প্রত্যেক যাত্রী ও পরিবহনকর্মীকে মাস্ক পরতে হবে। এছাড়া ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার। আর বাস-মিনিবাসে এক সিট খালি রেখে যাত্রী বসাতে হবে। এই সিদ্ধান্তের আগে যাত্রীকল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন মহল থেকে বাসভাড়া না বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছিল। তখন মালিকদের বক্তব্য ছিল, আসন অর্ধেক করার পর ভাড়া না বাড়ালে তাদের লোকসান গুনতে হবে। এরই প্রেক্ষাপটে সরকার শর্ত সাপেক্ষে বাসভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।
ভাড়া দ্বিগুণের বেশি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক যাত্রী। তাদের অভিযোগ, ঈদে বাড়ি যেতে পারেননি। দুই-একদিনের ছুটিতে বাড়ি যাওয়া আবার আসা ঝামেলা। তাছাড়া লকডাউনও বেড়েছে।