ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়লো ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। ইউনিট প্রতি ৫ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বেড়ে ৬ টাকা ২০ পয়সা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি। আগামী ডিসেম্বর মাস থেকেই নতুন এই মূল্য কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
কমিশন জানিয়েছে, এই দাম পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভর্তুকি ধরা হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা।
জানা গেছে, এই দাম বৃদ্ধির ফলে এখনই গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না। তবে নতুন দাম বিবেচনায় শিগগিরই বিতরণ কোম্পানিগুলো কমিশনের কাছে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেবে।
সোমবার অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর এই আদেশ দিয়েছে কমিশন। এ সময় কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সদস্য আবু ফারুক, সদস্য মকবুল ই ইলাহী, সদস্য বজলুর রহমানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এক মাস আগেও বিদ্যুতের পাইকারি দাম না বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল কমিশন। তবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে আজ সোমবার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিলো কমিশন।
প্রসঙ্গত, পিডিবি গত ১২ জানুয়ারি বিদ্যুতের পাইকারি দাম পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাব জমা দেয়। এরপর ১৮ মে তাদের প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি করা হয়েছে। এরপর ১৩ অক্টোবর দাম না বাড়ানোর ঘোষণা দেয় কমিশন। তবে কমিশন সে সময় এই প্রস্তাবের বিপরীতে প্রস্তাবের বিষয়ে রিভিউ করার সুযোগ রেখে দেয় পিডিবির জন্য। আর সেই সুযোগটিই নিয়েছে পিডিবি। গত সপ্তাহের সোমবার রিভিউ আপিল করে তারা। এক সপ্তাহের যাচাই-বাছাই শেষে আজ নতুন সিদ্ধান্ত জানানো হলো।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ মে পিডিবি গণশুনানিতে পাইকারি বিদ্যুতের দাম ৬৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় এবং বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ভর্তুকি না দিলে ৫৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল। আর ভর্তুকি দিলে বাড়ানোর প্রয়োজন নেই বলেও তারা সুপারিশ করে।
বিইআরসি সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের পাইকারি দর ইউনিট প্রতি ৫ টাকা ১৭ পয়সা নির্ধারণ করে।