অনলাইন ডেস্ক: ফরিদপুরে ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে গেছে, ১০ বছরে বোরো ধানের আবাদ নেমে এসেছে অর্ধেকে।
শুষ্ক মৌসুমে চাষ করতে গেলে সম্পূর্ণ সেচের পানির ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু দিন দিন পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। এতে অনেক সময় পানি ওঠে না। আবার অনেক সময় ধীরে ওঠে বলে ফলন খারাপ হয়। আবার ব্যয়ও বাড়ে।”
ফরিদপুরে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, এ জেলার ২০১০ সালে যেখানে বোরো আবাদ হয়েছিল ৩৮ হাজার হেক্টরে, সেখানে চলতি বছর হয়েছে মাত্র ২১ হাজার ৪০০ হেক্টরে। ১০ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে।
কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন, ২০১১ সালে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল ৩৬ হাজার হেক্টরে। ২০১২ সালে তা নেমে দাড়ায় ২৮ হাজার ৮৯৫ হেক্টরে। এভাবে ধীরে ধীরে কমে আসছে আবাদ।
“স্থানীয় চাষীরা জানান , কয়েক বছর আগে পানি তুলতে যে সময় লাগত এখন তারচেয়ে অনেক বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে।সময় মত পানি না দিতে পারায় অনেক চাষীকেই গুনতে হচ্ছে লোকসান। অনেক চাষী নিজ থেকেই বোরো ধানের চাষ থেকে সরে আসছে। তাছাড়া এ মৌসুমে গম ও মুশুর সহ অন্যান্য আবাদী ফসলে বেশি লাভ হওয়াই চাষিরা লাভজনক ফসল চাষের দিকে ঝুকছে বেশি লাভজনক বলে তারা জানান।