পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ শুল্ক মওকুফ করা হয়েছে। তবে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ রেখে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাাপনে স্বাক্ষর করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আর ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক। প্রজ্ঞাপনে পেঁয়াজ আমদানিতে প্রযোজ্য শুল্ক থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বছরের ৭ জানুয়ারি দেশের কৃষকদের স্বার্থে পেঁয়াজ আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল এনবিআর।
ওই আদেশে আগের প্রত্যাহার করা ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক পুনর্বহালের পাশাপাশি নতুন করে আরও ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা হয়। কাস্টমস আইন ১৯৬৯ সালের ১৮নং ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এনবিআর।
আমদানি করা হয়। মূলত ভারত থেকে বেশি আমদানি করা হয়। কিছু মিয়ানমার থেকে আসে। ভারতের বেঙ্গালুরুতে অতিবৃষ্টির কারণে সেখানকার বাজারে দাম বেড়ে গেছে। যার প্রভাবে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিছুটা ভারতের দাম বাড়ার জন্য আর কিছুটা আশঙ্কা থেকে এ দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তিনি বলেন, জনস্বার্থে পেঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহার এবং অপরিশোধিত সয়াবিন, অপরিশোধিত পাম ও চিনির শুল্ক হ্রাসের জন্য এনবিআরকে অনুরোধ করা হয়েছে। মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আনার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
যদিও হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার পাইকারী ও খুচরা দুই বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। পাইকারি পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজ ৫৫ টাকা ও ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৩-৫৪ টাকা কেজিতে। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।