ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
পেট্রোবাংলার সকল কোম্পানির সম্পদ পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি কোম্পানি গঠনের পর বিভিন্ন সময় সম্পদ মূল্যায়নের কথা থাকলেও তা নিয়মিত হয় না বলে জানা গেছে। ফলে কোম্পানির সম্পদ ঠিক কী পরিমাণ তার সঠিক হিসাব নেই। হিসাব জানতে অতীতের তথ্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। এতে করে দাতা সংস্থার অর্থায়নেও জটিলতা দেখা দেয়।
জানা গেছে, সরকারি এসব কোম্পানির স্থাবর অনেক সম্পত্তির নামজারিই হয়নি। ফলে সারাদেশে কোম্পানিগুলোর সম্পদের হিসাব পেট্রোবাংলার কাছে নেই।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ ইআরপি (এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং) করেছে। তারা এর মাধ্যমে সম্পদের হিসাব করেছে। কিন্তু একই মন্ত্রণালয়ের অধীন অন্য একটি বিভাগ এখনও তা করে উঠতে পারেনি।
জ্বালানি বিভাগ বলছে, সম্পদের পুনর্মূল্যায়ন সম্ভব হলে কোম্পানির আকার বড় হবে। কোম্পানির মূলধনি বিনিয়োগ বাড়ানো যাবে।
জ্বালানি বিভাগের এক বৈঠকে জানানো হয়, সারাদেশে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির (জিটিসিএল) অনেক সম্পত্তি কেনা রয়েছে। এসব সম্পদের দলিল সংগ্রহ করে মিউটেশন করে নামজারি করার ফলে অনেক সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। ফলে অন্য কোম্পানিগুলো যদি একই উদ্যোগ নেয় তবে তাদের সম্পদও বাড়তে পারে।
পেট্রোবাংলার অধীনে গ্যাস বিতরণ কোম্পানি ছাড়াও গ্যাস উৎপাদন এবং অনুসন্ধান-উৎপাদন কোম্পানি রয়েছে। যাদের সবার সারাদেশে বিভিন্ন সম্পদ রয়েছে। কোম্পানিগুলো যখন সম্পদ কিনেছিল তখন থেকে এখন অবধি সম্পদের দর বাড়লেও সেটার মূল্যায়ন হয়নি।
বলা হচ্ছে, এর আগে সরকারি কোম্পানিগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারের কাছ থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নের খরচ নিতো। কিন্তু এখন পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কোম্পানিগুলো বেসরকারি কোম্পানির মতো বাণিজ্যিকভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অর্থের সংস্থান করছে। দাতা সংস্থা থেকে শুরু করে দেশের বাইরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েও প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এক্ষেত্রে পেট্রোবাংলার কোম্পানির ঘাটতি রয়েছে। এটা দূর করতে কোম্পানিগুলোর পরিচালনায় দক্ষতা বাড়ানো দরকার। তাতেই সরকারের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে।
জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে কোম্পানিগুলোকে সম্পদ পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এটি দুই-একদিনের কাজ নয়। কোম্পানিগুলোকে এ জন্য কোনও সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া না হলেও দ্রুত তারা কাজটি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।