জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ফিড ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ৫২৯ কোটি টাকা এবং সামগ্রিকভাবে পোলট্রি শিল্পে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর গত ১২ বছরের মধ্যে পোলট্রির দর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছিল এই দুর্যোগের কারণেই। ২০২০ সালের জুন মাসের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৩৫-৪০ শতাংশ ফিডের উত্পাদন এবং প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যালস প্রোডাক্টের বিক্রি কমে গেছে।
মৎস্য ও প্রাণিখাদ্য প্রস্তুতকারক ফিড ইন্ডাস্ট্রির স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফিড রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণের পাশাপাশি ২০২৫ সাল নাগাদ পোলট্রি মাংস, ডিম ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের রপ্তানি মার্কেটে প্রবেশের সক্ষমতা অর্জনের জন্য আগামী বাজেটের জন্য তিনটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে পোলট্রি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে। এ প্রস্তাবনাগুলো মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
সরকারের দেওয়া বিদ্যমান সুবিধাগুলো অগ্রিম কর, অগ্রিম আয়কর, কর ও শুল্ক, ভ্যাট ইত্যাদি আরো অন্তত ১০ বছর অর্থাত্ ২০৩০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখা। এ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অস্থিরতার কারণে রপ্তানিকারক দেশগুলো প্রয়োজনীয় কাঁচামাল রপ্তানির পরিমাণও কমিয়ে দিয়েছে। বিগত কয়েক মাস যাবত্ মত্স্য ও প্রাণিখাদ্যে ব্যবহূত কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া কাঁচামাল পরিবহনে কন্টেইনার ও জাহাজ ভাড়াও প্রায় ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় কোভিডের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আগামী ১০ বছরের জন্য কর অব্যাহতি সুবিধা প্রয়োজন।
সারা দেশে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৬০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী পোলট্রি শিল্পকে আরও অধিক সক্রিয় করার তাগিদ যৌক্তিক কারণেই বেড়েছে। পোলট্রি শিল্পকে রক্ষায় আমরা এমন প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। প্রস্তাবিত সুবিধাদি প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বরাবরে প্রয়োজনীয় সুপারিশ পাঠানো হবে বলে আমরা আশা করছি বলে জানান, অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আহসানুজ্জামান।