ইলিশের আদলে তৈরি স্থাপনার কারণে রেস্তোরাঁটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত পরিচিতি পায়। তবে পরিচিতির কয়েক দিনের মধ্যেই খাবারের দাম আর সার্ভিস চার্জ নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল করা হয় রেস্টুরেন্টটির খাবারের দাম নিয়ে।
রেস্তোরাঁটিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বুধবার দুপুরে অভিযান চালায়। এ সময় ধরা পড়ে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা। অভিযানে রেস্তোরাঁটির বাবুর্চি ও কর্মচারীদের টয়লেট এবং কিচেন রুমে একই জুতা ব্যবহার, টয়লেটের পর সাবান ব্যবহার না করা এবং বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া বিপুল পরিমাণ নুডলস ও সস ফ্রিজে সংরক্ষণসহ বেশকিছু ত্রুটি পাওয়া গেছে বলে ভোক্তা অধিকার সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার দুপুরে রেস্তোরাঁটিতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে অনেকগুলো টয়লেট রয়েছে। অতিথিদের জন্য সাবানের ব্যবস্থা থাকলেও বাবুর্চি ও স্টাফদের টয়লেটে কোনো সাবান পাওয়া যায়নি। তারা খালি পানি দিয়েই হাত পরিষ্কার করেন। তাদের অনেকগুলো টয়লেট রয়েছে। তারা টয়লেট ও কিচেনে একই জুতা ব্যাবহার করেন। এটা করা যাবে না বলে জানান, মুন্সিগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া বিদেশ থেকে আমদানিকৃত বিপুল পরিমাণ নুডলস ও সস তাদের ফ্রিজে পাওয়া গেছে। যেগুলোর বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেই। এসব পণ্যের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মোড়কে কোনো নাম বা লোগো ব্যবহার করা হয়নি।