ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক
টাকায় মিলছে করোনা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট। ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট জালিয়াত চক্রের কমপক্ষে ২০ জন সদস্য আটক করা হয়েছে। বাড়ানো হয় নজরদারি। তবে থেমে নেই জালিয়াত চক্র। বরং আগের চেয়ে জোরেসোরে মাঠে নেমেছে তারা। আগে গোপনে প্রচার হলেও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ্যে প্রচার করে বেড়াচ্ছে এই অসাধু কারবারিরা। এবার তাদের টার্গেট বিদেশগামী প্রবাসী কর্মীরা। কারণ অনেক দেশেই ভ্যাকসিন ছাড়া যাওয়া সম্ভব নয়।
সূত্র জানায়, ট্রাভেল এজেন্সি, টিকেটিং এজেন্সি ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মীদের নিয়ে গড়ে উঠেছে সার্টিফিকেট দেওয়ার অবৈধ সিন্ডিকেট। প্রবাসী কর্মীদের টার্গেট করে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও রয়েছে তাদের সরব উপস্থিতি। ফেক আইডি ব্যবহার করে এ সংক্রান্ত পোস্ট দিচ্ছে অহরহ।
টিকা ছাড়া সার্টিফিকেট দেওয়ার মূল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মীরা। সময় বেঁধে এ কাজের জন্য ৩ থেকে ২০ হাজার টাকা চাচ্ছে এই চক্র। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লেনদেনটা হচ্ছে মোবাইল ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই এখন ভ্যাকসিন ছাড়া প্রবেশ করা যায় না। আবার কোনও দেশে ভ্যাকসিন ছাড়া গেলে লাখ টাকা খরচ করে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়। আবার দেশভেদে অনুমোদিত ভ্যাকসিনও ভিন্ন। এতে বিদেশগামী প্রবাসীদের কাজে ফিরতে হলে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটের বিকল্প নেই।
টিকা সার্টিফিকেট বাণিজ্যের কাজ করেন মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন। মার্লিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের হেড অব বিজনেস হিসেবে কাজ করছেন তিনি। পরিচয় গোপন করে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ব্যাকডেটে করোনা সার্টিফিকেট দেওয়া যাবে। তবে কাউকে টিকা নিতে হবে না। এজন্য জন প্রতি দিতে হবে ১৪ হাজার টাকা।
রাজধানীর পল্টন এলাকায় তাকিয়া ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করেন রমজান। তিনি জানালেন, টিকা সার্টিফিকেট ৩ ঘণ্টা থেকে ১ দিনের মধ্যে তৈরি করে দিতে পারবেন। এজন্য তাকে দিতে হবে ১২ হাজার টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন জানালেন, অনেক প্রবাসী টিকা সার্টিফিকেট নিয়ে জটিলতায় আছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরে গেলেও সহযোগিতা করা হয় না। তখন যাত্রীরা আমাদের কাছে আসেন। আমরা তাদের হয়ে কাজগুলো করে দেই। এর জন্য হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন টাকা নেয়। স্বাভাবিক উপায়ে সব হলে তো কেউ টাকা খরচ করে এ পথে আসতো না।