প্রাণিসম্পদ খাতে কোটি মানুষের কর্মসংস্থান:  শ ম রেজাউল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট:

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রাণিসম্পদ খাতে বর্তমানে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রায় প্রায় এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ফলে আমাদের দেশে বেকারত্ব দূর হচ্ছে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে। খাবারের চাহিদা যেমন মিটছে, পুষ্টি ও আমিষ গ্রহণের ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ছে।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী-২০২২’ এর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, আমরা মাংস বিদেশ থেকে আমদানি করব না। বিদেশে মাংস রপ্তানি করব, সেই প্রত্যয় আমাদের রয়েছে। আমাদের মাটি পরিবেশ জলবায়ু এবং প্রাকৃতিক খাবার পশুর জন্য খুবই উপাদেয়। আমাদের দেশে মাটি এত উর্বর যে সেখানে স্বাভাবিকভাবেই ঘাস জন্মায়। সেই কারণে অনেকেই প্রাণিসম্পদ খাতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণী সম্পদ উন্নয়নের দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছেন। আমরা মাছ মাংস এবং ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। আজকে বাংলাদেশ মাংস উৎপাদনে এমন পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে যা কল্পনার বাইরে ছিল।

তিনি আরো বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের এই পরিবর্তন জাতি গঠনে ভূমিকা রাখছে। আমাদের বয়স্ক, মধ্যবয়স্ক এবং শিশুরা যদি পুষ্টিকর খাবার না পায়, পর্যাপ্ত মাছ মাংস না পায়, তাহলে তাদের মধ্যে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার সৃষ্টি হবে না। তাদের মধ্যে মেধা ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতি মুখ থুবরে পড়বে।

মন্ত্রী আরো বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে বর্তমানে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রায় প্রায় এক কোটি মানুষ কাজ করছে। ফলে আমাদের দেশে বেকারত্ব দূর হচ্ছে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে। খাবারের চাহিদা যেমন মিটছে, পুষ্টি ও আমিষ গ্রহণের ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ছে।

 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মাদ শাহজাদা এর সভপিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।